রফিক উদ্দিন লিটন:
বান্দরবান পার্বত্য জেলা সবচেয়ে জনবহুল উপজেলা লামার সরকারি হাসপাতালের নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
স্বাস্থ্যসেবার সরকারী এই পতিষ্ঠানটির চারিদিকে অস্বাস্থ্যকর অবস্থা।
১৯ সেপ্টেম্বর পরিদর্শনে এমন চিত্র প্রতিবেদকের কাছে ধরা পড়ে।
দেখা গেছে, হাসপাতালের বেডে ভর্তি আছে রোগি। অথচ ডাক্তারের খোঁজখবর নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা চিকিৎসা বঞ্চিত থাকতে হয় রোগিদের। দায়িত্বরত নার্সরাও খামখেয়ালিপনাভাবে থাকে। অভিযোগ করলেও কাজ হয়না। শোনতে চায়না রোগি বা স্বজনদের কথা।
উপরের ওয়ার্ডে ৫ জন নার্স নিয়োগ রয়েছে। কিন্তু কাজ করে দুইজন।
জরুরি বিভাগেরও বেহাল দশা।
রোগি ও স্বজনেরা অভিযোগ করেছে, সরকারি হাসপাতাল হলেও সেবা নিতে জরুরি বিভাগে ৫০-১০০ টা দিতে হয়। না হলে চিকিৎসা করা হয় না।
৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা বাগান মালি, আব্দুস সালাম জরুরী বিভাগের সিনিয়র সার্জেন্টের ভূমিকায়। ডাক্তারি বিদ্যা না পড়েও যেন তারা ডাক্তার। সেবা নয়, কথা বলে বড় গলায়।
হাসপাতালে কোন রকম অনিয়মের কথা বললে শুরু হয় সালামের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ। হুমকি দেন মিথ্যা মামলার। বলে বেড়ায়, তার হাত নাকি অনেক উপরে! তাকে ঠেকায় কে? ধরে কে?
বিভন্নজনের অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে প্রতিবেদককে রুমে ডেকে নিয়ে বলেন- লামা হাসপাতালে কোন সাংবাদিক প্রবেশ করতে আগে অনুমতি নিতে হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাহামুদুল হকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সময় দিতে পারেননি।
এরপর ডাঃ মো শফিউর রহমান মজুমদারের সাথে সাক্ষাতকারে গেলেও সমাধান মেলেনি। উল্টো সাংবাদিকতা পেশা নিয়ে কটূক্তি করেছেন।
লামা সরকারি হাসপাতালে অনিয়ম-দুর্নীতি, পরিবেশের বেহাল দশা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
