প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

বর্ণাঢ্য আয়োজনে শুক্রবার থেকে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপি সিসিমপুর মেলা। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপন এবং টেলিভিশনে সিসিমপুর সম্প্রচারের ১৫তম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহযোগিতায় সিসিমপুর-এর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের আয়োজন এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয়েছে গল্পের বই প্রকাশনা উৎসবও। কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী সংলগ্ন শহীদ দৌলত ময়দানে অনুষ্ঠিত সিসিমপুর মেলা ও গল্পের বই প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো: রুহুল আমিন খান বলেন-সিসিমপুর শুধু টিভি অনুষ্ঠানই নয়, এটি একটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। তিনি বলেন, সিসিমপুর, ইকরি ও হালুম বাংলাদেশের শিশুদের কাছে জনপ্রিয়। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের জন্য এই কার্টুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএইমএম মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশের-এর নির্বাহী পরিচালক মোঃ শাহ আলমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আমিন আল পারভেজ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টটিভ রিচার্ড রাগান, ইউএস এআইডি বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জোসেফ মোনেহিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আলম। সিসিমপুরের বন্ধুদের সাথে মজার মজার গল্প করার জন্য মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন-সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরি ও শিকু। এতে কক্সবাজার পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ও সিনিয়র শিক্ষক মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিসিমপুরের বই অবলম্বনে নাটিকা উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য-সিসিমপুর, ৩-৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি শিশুদের জন্য একটি প্রাকশৈশব শিক্ষা কর্মসূচি যার যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৫ সালে। এটি বিশ্ব-বিখ্যাত টেলিভিশন প্রোগ্রাম সিসেমি স্ট্রিট-এর বাংলাদেশি সংস্করণ যা শিশুদেরকে অনেক বেশি সম্পন্ন, সবল ও সদয় হয়ে উঠতে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে সিসিমপুরের যাত্রা শুরু হয় ইউএসএআইডি’র সহায়তায়। শিশুদের জন্য প্রায় ৭০০ পর্বের টেলিভিশন অনুষ্ঠান, ১০০ টিরও বেশি গল্পের বইসহ নানা ধরণের শিক্ষা উপকরণ তৈরি করেছে সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে একটি সাম্প্রতিক প্রকল্পের আওতায় সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ প্রকাশ করেছে ২০টি গল্পের বই। বইগুলোর প্রায় ৬০ হাজার কপি বিতরণ করা হবে কুতুবদিয়া ও উখিয়া উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, যা তাদের বাংলা পড়ার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। সংশিষ্ট বিদ্যালয়সমূহে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ‘বিদ্যালয় খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।