কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত আলোকিত উখিয়া পত্রিকায় প্রকাশিত এবং কয়েকটি অন লাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার হওয়া কক্সবাজার থেকে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যে ইয়াবা পাচারের শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে এমন শিরোনামের সংবাদটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদে আমাদের ছবি এবং নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এবং আমি সাইফুদ্দিন আহমেদ লিটন এবং এরশাদ উল্লাহ নামে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত বলে যে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘ এক যুগের বেশী সময় ধরে আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীতে আমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে আমরাও ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি। বিদেশে অর্জিত অর্থ দেশে পাঠানোর মধ্য দিয়ে আমরা দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখছি। আমরা বিশ্বাস করি, মাদক দেশ এবং জাতীর ধ্বংসের অন্যতম কারন। আর এসব অবৈধ দেশ বিরোধী কাজে যারা জড়িত হবে তারা দেশের শত্রু বলে আমরা মনেপ্রানে মানি এবং বিশ্বাস করি।
কিন্তু এক শ্রেনীর স্বার্থন্বেষী মহল আমার ব্যাবসায়িক সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে বলে আমরা মনে করছি। সংবাদে কক্সবাজার শহরে আমাদের বিলাস বহুল বাড়ি, গাড়ি আছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বাস্তব অর্থে আমাদের একক মালিকানায় কোন বাড়ি নেই। গাড়ি থাকার বিষয়টি মোটেই সত্য নয়। ইয়াবা ব্যবসা করে আমরা হোটেলের মালিক হয়েছি বলেও সংবাদে লেখা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য বের করা সম্ভব হবে বলে আমদের বিশ্বাস । তারপরও বলছি এত বছর বিদেশে ব্যবসা বানিজ্য করার পরও সবার স্বপ্ন থাকে দেশে বাড়ি গাড়ি কেনার। তবে, আমাদের সে আশা বা স্বপ্ন এখনও পুরণ করতে পারিনি।

সৌদি আরবে কে কোথায় মাদক নিয়ে ধরা পড়েছে এর সাথে আমাদের জড়িত করা হয়েছে সংবাদে। এমন ঘটনায় আমাদের জড়িত করা এক ধরনের বোকামি বলে আমরা মনে করি।
কারন সৌদি আরব এমন একটি দেশ যেখানে তারা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে। সামান্য পরিমান মাদক নিয়ে ধরা পড়লে সৌদি সরকার কঠোর শান্তি দেয় বলে আমরা জানি। এমন অবস্থায় এখানে মাদক বহন তো দূরের কথা মাদক সেবনের দুঃসাহসও কেউ করে না।
পরিশেষে বলবো, আমরা কোন অন্যায় এবং মাদক সংক্রান্ত জঘন্য কাজে জড়িত হয়েছি এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে আমাদের শাস্তি দিন।
অন্যতায়, মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করবেন না। সুন্দর এবং শান্তিতে আমাদের বিদেশে ব্যবসা করার সুযোগ দিন।

আমরা প্রতিবাদকারী দুই রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত এবং প্রচার হওয়া সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী

১.সাইফুদ্দিন আহমেদ লিটন 

২.এরশাদ উল্লাহ
মক্কা, সৌদি আরব।