আবুল কালাম, চট্টগ্রাম :
পো্স্টারে-ব্যানারে থাকলেও দুর্ভোগে নাকাল হালিশহরবাসীর পাশে নেই ক্ষমতাসীনরা । নগরীর হালিশহর ১১ নং ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম ওয়াসার এখন আর কোন কাজ নেই। তার পরও হালিশহর হাউজিং এস্টেটের কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ, এসওএস শিশু পল্লী, হালিশহর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এবং হালিশহর হাউজিং এস্টেট মাঠ (প্রকাশ বিডিআর মাঠ) সংযুক্ত দুটি সড়কের দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে সড়কের বেহাল দশার চিত্র চোখে পড়ে।
শিশু পল্লী মোড় সড়কটি দিনের বেশির ভাগ সময় জোয়াড়ের পানিতে তলিয়ে পড়ে। খানাখন্দে ভরা সডকটিতেও যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করে স্কুল কলেজে পডুয়া হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী যে কোন মুহুর্তে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে।
জুলেখা আক্তার নামে এক স্কুল ছাত্রী বলেন, খানাখন্দভরা তো আছেই কিন্তু জোয়ারের পানি যখন উঠে তখন স্কুল ও প্রাভেট পড়তে যাওয়া খুবই দুষ্কর হয়ে উঠে। আমাদের পড়া-লেখার ব্যাঘাত হচ্ছে।
জোয়ারের পানি প্রতিনিয়ত আসায় রাস্তা ভেঙ্গে সৃস্টি হচ্ছে গর্ত। আর বৃষ্টির সময় পানি এত বেশী থাকে যাতে গাড়ী চলতে পারে না। গাড়ীগুলো বাধ্য হয়ে আর্টিলারী রোড হয়ে ঘুরে আসতে হয় যার অবস্থা আরো বেশী করুণ।
পানির কারণে মুসল্লীরা মসজিদে যেতে পারে না, বাচ্চাদের স্কুলে যেতে সমস্যা এবং কর্মজীবি মানুষদের পোহাতে হয় দূর্ভোগ।
একাধিক স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতাশীল অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে অনেকেই পোস্টার ব্যানার লাগিয়ে দোয়া চাচ্ছেন। উনারা যদি নূন্যতম এই সমস্যাগুলো সমাধানের উদ্যোগ নিতেন এসব কাজই পোস্টার-ব্যানারের মত করেই তাদেরকে প্রচার করতো।
এলাকাবাসীর পরামর্শ জরাজীর্ণ সড়কসহ এলাকার নানান সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হয়ে এলাকাবাসীকে কষ্ট থেকে রেহাই দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অথবা সংশ্লিষ্ট কার্যলয়ের সাথে যোগাযোগ করে সংস্কারের ব্যবস্থা করলেই প্রকৃত সমাজ সেবককে খুজেঁ পাবে এলাকাবাসী।
হালিশহর চসিকের ১১ নং ওয়ার্ডে বর্তমানে ওয়াসার কোন কাজ চলছে না। তার পরও কাজের জন্য এমন করুণ অবস্থা কেন প্রশ্নের উত্তর জানতে চান এলাকাবাসী।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।