বিবিসি বাংলা:

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন যে আল কায়দা নেতা ওসামা বিন লাদেনের পুত্র হামজা বিন লাদেন যুক্তরাষ্ট্রের চালানো এক অভিযানে মারা গেছেন।

গত মাসে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এক বিমান হামলায় তার নিহত হবার খবর প্রকাশ করে।

দু বছর আগে আমেরিকা তাকে বিশ্ব সন্ত্রাসী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে চিহ্ণিত করে।

ব্যাপকভাবে মনে করা হতো যে হামজা বিন লাদেন তার পিতা ওসামা বিন লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরী।

হামজার বয়স ধারণা করা হয় প্রায় ৩০বছর। তিনি আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশের ওপর আক্রমণ চালানোর ডাক দিয়েছিলেন।

”হামজা বিন লাদেন, আল কায়দার শীর্ষ পর্যায়ের সদস্য এবং ওসামা বিন লাদেনের পুত্র, আফগানিস্তান/পাকিস্তান এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চালানোর সন্ত্রাস বিরোধী এক অভিযানে নিহত হয়েছেন,” হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানিয়েছেন মি: ট্রাম্প।

”হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু আল কায়দার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বপদে শূন্যতা সৃষ্টি করবে এবং তার বাবার সঙ্গে হামজার প্রতীকী যোগাযোগের জায়গাটাও তার মৃত্যুতে ধাক্কা খাবে। শুধু তাই নয়, দলের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমও এর ফলে বাধাগ্রস্ত হবে।”

আমেরিকা কখন এই অভিযান চালিয়েছে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

মাত্র ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকান সরকার হামজাকে ধরিয়ে দেবার জন্য দশ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।

হামজা বিন লাদেনকে মনে করা হতো আল কায়দার উঠতি নেতা।

অগাস্ট মাসে খবর দেওয়া হয় যে গত দুই বছরে কোন সময়ে এক সামরিক অভিযানে হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন এবং ওই অভিযানে আমেরিকা জড়িত ছিল। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট তারিখ বা সময় স্পষ্ট করে বলা হয়নি।

আল কায়দা: মূল তথ্য

কাবুলের কাছে ২০০১ সালে ওসামা বিন লাদেনকাবুলের কাছে ২০০১ সালে ওসামা বিন লাদেন
  • ১৯৮০র দশকের শেষ দিকে আফগানিস্তানে দলের আত্মপ্রকাশ। দখলদার সোভিয়েত বাহিনীকে হঠানোর জন্য তখন আমেরিকা সমর্থিত মুজাহেদিনদের সাথে যোগ দিয়ে লড়ছিল আরব স্বেচ্ছাসেবকরা।
  • স্বেচ্ছা সৈনিকদের সহায়তা করতে ওসামা বিন লাদেন একটি সংগঠন গড়ে তোলেন যা পরিচিত হয় আল-কায়দা নামে যার অর্থ ”ভিত্তি”।
  • তিনি আফগানিস্তান ত্যাগ করেন ১৯৮৯ সালে। এরপর তিনি আবার আফগানিস্তানে ফিরে যান ২৯৯৬সালে কয়েক হাজার বিদেশি মুসলিমের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনার জন্য।
  • আমেরিকা, ইহুদী ও তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে আল-কায়দা।