ডেস্ক নিউজ:
নারায়ণগঞ্জে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরির মূল হোতা সৌদি প্রবাসী এক ব্যক্তি। আর পুরো প্রক্রিয়ায় জড়িত সৌদি দূতাবাস, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ও জন্ম নিবন্ধনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।
অবৈধ জন্মসনদ দিয়েই পাসপোর্ট পেয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। দীর্ঘদিন ধরে পাওয়া এই তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করছিল র‌্যাব। অবশেষে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চালানো হয় অভিযান। মেলে ২৫ হাজারের বেশি পূরণ করা জন্মসনদের ফর্ম। আটক হয় ৬ জন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, সংঘবদ্ধ এক চক্র অবৈধভাবে জন্মসনদ তৈরি করে আসছে যার মূলহোতা সৌদি প্রবাসী বায়েজিদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের সদস্যদের কাছে তথ্য পাঠাতো সে। বাংলাদেশ থেকে কাগজ তৈরি করে তারা পাঠাতো বায়েজিদের কাছে। তারপর তৈরি হতো পাসপোর্ট।
সৌদি আরবের দূতাবাস কর্মকর্তার সহায়তায় একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে এই কাজটি করতো তারা। জড়িত জন্ম নিবন্ধন অধিদফতরের বেশ কিছু কর্মকর্তাও।
তারা বলেন, আমাদের একজন বস আছেন যার নাম মোস্তফা কামাল। তিনি জেদ্দা এম্বাসিতে কাজ করেন। উনিই পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।
র‌্যাব জানায়, বিশেষভাবে পারদর্শী এ চক্রকে চিহ্নিত করা বেশ কঠিন । সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদ ও জন্ম নিবন্ধন কর্মকর্তারাও এ কাজে জড়িত বলে জানায় র‌্যাব। এই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি অনেক সাজাপ্রাপ্ত আসামিও পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে।
র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, এখানে সৌদি থেকে হাইকমিশনের সাথে যে দালাল চক্রের পরিচয় আছে তারাই এই পথ দেখিয়ে দেয়। শুধু রোহিঙ্গারা নয়, ফেরারি আসামি যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তারাও পাসপোর্ট করে পালিয়ে যাচ্ছে।
এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানায় র‌্যাব।