মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার জেলায় প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ থাকা জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুব শিঘ্রী খুলে দেয়া হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ে চলমান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিষয়টি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন সিবিএন-কে  জানিয়েছেন।

সভায় জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন-কক্সবাজারের জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেয়ার জন্য বেশ ক’দিন আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মহোদয়ের বরাবরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপারিশ মালা সহ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। পত্রে জন্ম নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর প্রকট সমস্যা ও চরম দুর্ভোগের কথা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এবিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন হতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে যোগাযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, আশাকরি শিঘ্রী জম্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন বলেন-জন্ম নিবন্ধন সার্ভার খুলে দেয়া হলে সতর্কতার সাথে, প্রয়োজনীয় যাচাই বাচাই করে জম্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু করার জন্য তিনি জনপ্রতিনিধিদের অনুরোধ জানান। সভায় অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম, ডিডিএলজি শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত আরআরআরসি মোঃ শামশুদ্দোহা (উপসচিব), অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাঃ শাজাহান আলি, ডিজিএফআইয়ের লেঃ কর্নেল রুবাইয়াত, এনএসআই অতিরিক্ত পরিচালক, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, উখিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, উখিয়ার ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান, টেকনাফের ইউএনও মোঃ রবিউল হাসান, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বিপিএম-বার, উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমার হতে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা শরনার্থী বাংলাদেশে আগমন করার পর থেকে কক্সবাজার ও ৩ পার্বত্য জেলার জন্ম নিবন্ধন সার্ভার কেন্দ্রীয়ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নামে জম্ম নিবন্ধন সনদ ইস্যু হওয়ার আশংকায় জম্ম নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ করা হলেও স্থানীয় জনগোষ্ঠী এনিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ ও প্রকট সংকটের মধ্যে ছিলো।