বার্তা পরিবেশক:
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকায় হোয়ানক কেরুনতলী ভূমি অফিস সহায়ক আবুল হাশেমকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেছেন ওই অধিগ্রহণ ফাইলে ওয়ারিশগণ। তারা পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বাস্তবতার কোনো ধরণের মিল নেই বলে কঠোরভাবে দাবি করেছেন। তারা জানিয়েছেন, আইনগত বৈধতা অনুসরণ করে তারা খতিয়ানী মালিকানাধীন জমির অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের জন্য আবুল হাশেমকে ক্ষমতা অর্পণ করেছেন। তবে তা নিয়ে কোনো ধরণের টাকার লেনদেন হয়নি। আবুল হাশেম ওই জমিতে অবস্থিত পুকুরের লিজগ্রহীতা হওয়ার সুবাধে ওয়ারিশ বেশি হওয়ায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় নিজেদের সুবিধার্থে ওয়ারিশগণ তাকে ক্ষমতা অর্পণ করেছেন। তাই প্রকাশিত সংবাদ সংবাদটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন তারা। মঙ্গলবার কক্সবাজার শহরের এক হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের ওয়ারিশগণ এই কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওয়ারিশগণ জানান, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক মৌজার ৩০৮, ৭৩৩ ও ৬৭৫ খতিয়ানভুক্ত ৩৯ শতকের জমির খতিয়ানি মালিক কেরুনতলীর মৃত চন্দ্র কুমার দে ও রাজুয়ারঘোনার মৃত ঠান্ডা মিয়ার ওয়ারিশগণ। ওই জমিতে রয়েছে পুকুর। পুকুরটি লিজ নিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে চাষ করছেন বর্তমানে রাজুয়ার ঘোনা বাসিন্দা ও কেরুনতলী ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক আবুল হাসেম। ওই জমিটি পুরোটাই অধিগ্রহণের আওতায় পড়ে। এর ফলে এলএ শাখার ৭ ধারা নোটিশে জমির ক্ষতিপূরণের পাওয়ার জন্য ওয়ারিশগণের মোকতার আহমদ গং ও বাদল কান্তি দে’ গংয়ের নামে নোটিশ ইস্যু করা হয়। অন্যদিকে বৈধ লিজ গ্রহিতা হিসেবে পুকুর ও পুকুর পাড়ের অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের জন্য আবুল হাসেমের নামে ২০১ ও ২৩৬ নং এওয়ার্ডে ৭ ধারা নোটিশ ইস্যু করা হয়।

ওয়ারিশগণ বলেন, নিয়ম মোতাবেক অবকাঠামো ক্ষতিপূরণের জন্য আবুল হাসেম এলএ শাখায় আবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে ৫০ জনের অধিক ওয়ারিশ হওয়ায় ফাইল আবেদনে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয় ওয়ারিশগণের। তারা কোনোভাবেই সমস্যা সমাধান করতে পারেনি। লিজ গ্রহিতা ও ভূমি সংক্রান্ত চাকরিজীবি হওয়ায় জটিলতা নিরসন ও টাকা উত্তোলনের সুবিধার্থে ওয়ারিশগণ আবুল হাশেমের শরণাপন্ন হন। ওই পুকুরের লিজ গ্রহিতা ও ওয়ারিশদের অনুরোধে বিনা টাকায় ক্ষমতা নিয়েছে আবুল হাশেম। তাকে অনেকটা জোর করে ক্ষমতা অর্পণ করানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেল উপস্থিত ওয়ারশিগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, আবুল হাশেম কোনোভাবেই অবৈধ ও আইন বহির্ভূতভাবে আমাদের ক্ষমতা নেয়নি। তিনি আমাদের সহযোগিতার করার জন্যই অনিচ্ছা সত্তে¡ও ক্ষমতা নিয়েছেন। তিনি সহযোগিতায় এগিয়ে না এলে টাকাগুলো উত্তোলন করা আমাদের পক্ষে চরম কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতো। তিনি সহযোগিতা করায় আমরা কষ্ট ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এই জন্য আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।

ওয়ারিশগণ আবুল হাশেমের নামের মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেছেন। ভবিষ্যতে এই রকম মিথ্যা ও বিভ্রান্তমূলক সংবাদ প্রকাশ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি প্রকাশ করেছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, সম্প্রতি ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে আয় ও সম্পদের হিসাব বিবরণী চাওয়া হয়। উক্ত আয় ও সম্পদের বিবরণীতে আবুল হাসেম তার পুকুরের অবকাঠামো ক্ষতিপূরণ ও ক্ষমতা অর্পণ পেতে যাওয়া অর্থ হিসাবে দেখিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারিশদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠক করেন, বাদল কান্তি দে। উপস্থিত ছিলেন, জাগির হোসেন, মোকতার আহমদ, শাকের আহামদ, ফজল আহামদ, দেলোয়ার হোসেন ধলা, হাসেমা খাতুন।