হাবিবুর রহমান সোহেল:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে ভোটার হওয়ার তদবির করেছে অসংখ রোহিঙ্গা এমনই অভিযোগ অহরহ। সোমবার রাতে, কচ্ছপিয়াতে টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে, এমন একটি পোষ্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজ বুকে ভাইরাল হয়। এতে অগনিত লোক ওই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মুলক মন্তব্য করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায় করেন।
এর সুত্র ধরে গতকাল, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রির কাটা, মৌলভির কাটা, শুকমনিয়া, দৌছড়ি, তুলাতলি এলাকায় সরজমিন ঘুরে এমনই অভিযোগের সত্যইতা পাওয়া গেছে। ফাক্রির কাটা এলাকার যুবলীগ নেতা মোঃ তৈয়ব উল্লাহ জানান, উখিয়া টেংখালীর রোহিঙ্গা আবদুর রশিদ (৬০), তার স্ত্রী খতিজা (৫০), তার মেয়ে তসলিমা (৩০), হেলাল উদ্দিন (৩৫) ইয়াছমিন আক্তার (২৯), ইয়াছমিনের স্বামী বার্মাইয়া রফিক (৩৫) স্থানীয় সাহাব উদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। পরে কৌশলে ওই রোহিঙ্গা হেলালের পুরো পরিবার ওই এলাকার মহিলা মেম্বার মুন্নির সাথে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করার চুক্তি করে। যার ধারা বাহিকতায় ওই রোহিঙ্গা পরিবারের ফাইল ইতিমধ্যে কচ্ছপিয়া পরিষদে জমা হয়েছে বলে জানান পরিষদের এক জন। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই রোহিঙ্গা পরিবার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রির কাটা, মুরা পাড়া আশ্রয় কেন্দ্র এলাকার শাহাব উদ্দিন ড্রাইভারের বাড়ি আশ্রয় নিয়েছে। তবে শাহাব উদ্দিন ড্রাইভারের স্ত্রী দাবী করেন, ওই পরিবারের হেলাল তাদের মেয়ের জামাই।
অভিযোগের বিষয়ে ৪,৫,৬ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্মার মুন্নির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ” আমি ওই পরিবারের হেলালের স্ত্রী’র বিষয়ে দায়িত্ব নেয়েছি”।
কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাইল নোমানের মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রনয় চাকমা জানান, তিনি এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।