মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. দুলাল মল্লিক রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশ ও মাষ্টার মুহিব উল্লাহ’র রোহিঙ্গা শরনার্থী সংগঠনের বিষয়ে কিছুই জানেননা এবং তিনি তদন্তে আসা সেই দুলাল মল্লিক নন বলে দাবি করেছেন।
গত ২৫ আগষ্ট উখিয়া মধুরছরা এক্সটেনশন-৪ রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের মাঠে রোহিঙ্গা আগমনের দু’বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচিত রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিকের বিরুদ্ধে। সমাবেশের পর প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হচ্ছে-সমাবেশ আয়োজনকারী মাষ্টার মুহিব উল্লাহ’র নেতৃত্বাধীন আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিচ এন্ড হিউমিনিটি রাইটার্স (এআরএসপিএইচ) নামক রোহিঙ্গা শরনার্থী সংগঠনটি’র অন্যান্যদের সাথে তিনিও একজন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ওয়েবসাইটে মেম্বার ডিরেক্টরীতে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে-এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিক ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। তাঁর মেম্বার আইডি নম্বর ৬৬৩১, বর্তমান ঠিকানা-১৫১,পশ্চিম ধোলাইপাড়, শ্যামপুর, ঢাকা। তিনি সিবিএন-কে কক্সবাজার জেলার বাসিন্দা নয় বলে জানান। এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিক সিবিএন-কে আরো জানিয়েছেন, তার গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কয়েকবার নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের একই এলাকায় তাঁর বাড়ি বলে তিনি সিবিএন-কে জানান। এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিক দৃঢ়তার সাথে সিবিএন-কে বলেন-তদন্তে এই নামে কারো নাম এসে থাকলেও সেটি আমি নই। তিনি বলেন-আমি দৈনিক ইত্তেফাকের সাথেও জড়িত। তবে নিজেকে তিনি এডভোকেট পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বলে জানান। এবিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা সিবিএন-কে জানান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিক নামক একজন আইনজীবীই রয়েছেন, সমিতিতে যাঁর আইডি নম্বর ৬৬৩১ এবং তিনি ২০১৬ সালের ৩০ মে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ লাভ করেন। উক্ত কর্মকর্তার মতে, ওনি ছাড়া এডভোকেট মো. দুলাল মল্লিক নামে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে আর কোন সদস্য নাই।
প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা শরনার্থী সমাবেশের বিষয়ে প্রাথমিক এই তদন্ত প্রতিবেদনটি উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন হয়ে দেশের নীতিনির্ধারণী মহলের কাছে ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে। এ তদন্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রিলিমিনারী এ্যাকশন শুরু হয়েছে। এ প্রতিবেদনের আবার অধিকতর তদন্তও শুরু হয়েছে।