নিউজ ডেস্ক :
মিয়ানমার সরকারকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্র উত্তরণ সুসংহত করার জন্য আন্তর্জাতিক উদ্যোগগুলোকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলেট।

জেনেভায় মানবাধিকার কাউন্সিলের ৪২ তম অধিবেশনে তিনি বলেন, সেনা কর্তৃক মিয়ানমারে হত্যা এবং যৌন সহিংসতাসহ ১০ লাখ রোহিঙ্গার বাস্তুচ্যুতির দুই বছর হয়ে গেছে। রাখাইন রাজ্যে তথাকথিত আরাকন আর্মি এবং তাত্মাদোর মধ্যে আরেকটি দ্বন্দ্ব, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বাস্তুচ্যুতির আরেকটি তীব্র লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে।

তিনি বলেন, এটি জাতিগতভাবে রাখাইন এবং রোহিঙ্গা উভয়ের উপরই প্রভাব ফেলেছে। এসব বিষয় শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের ফিরে যেতে আরও কঠিন করে তুলবে।

মিশেল বাশেলেট আরও বলেন, শান রাজ্যে সংঘর্ষ সম্প্রতি বেড়ে যাওয়া ও দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বও বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক বিপর্যয়ের আরেকটি কারণ, যা স্থিতিশীল অবস্থাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াকে খর্ব করবে।

এই কাউন্সিল অধিবেশন তথ্য অনুসন্ধান মিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন শুনবে এবং মিয়ানমারজুড়ে যেসব সহিংসতা হয়েছে তার ভয়াবহতা ও মাত্রার পরিষ্কার চিত্র তুলে ধরবে।