আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পশ্চিম ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে রেকর্ড দেড় হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার দেশটির কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের গ্রীষ্মে (জুন ও জুলাই মাসে) ফ্রান্সে প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে প্রায় ১ হাজার ৪৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রেন্স রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাজনেস বুজিন বলেন, তাদের অর্ধেকের বয়স ৭৫ বছরের ওপরে।

তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কারণে দাবদাহের মৃত্যুর পরিমাণ ২০০৩ সালের চেয়ে কম হওয়ায় দেশটির কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। ২০০৩ সালের গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে ফ্রান্সে এ বছরের চেয়ে ১০ গুণ বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

ফ্রান্সে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৪.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইন) রেকর্ড করা হয়েছে চলতি বছরের জুনে। দেশটির রাজধানী প্যারিসে সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় গত জুলাইয়ে।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, চলতি বছরের গ্রীষ্মের ২৪ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত প্রথম তাপদাহে ফ্রান্সে ৫৬৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। পরবর্তী ২১ থেকে ২৭ জুলাইয়ে আরও ৮৬৮ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যাজনেস বুজিন বলেছেন, এদের মধ্যে ১০ জনের প্রাণ গেছে কর্মস্থলে। এ বছরের গ্রীষ্মের ভয়াবহতার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। এই সময়ে অনেক স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়।