একটি অনলাইন পত্রিকায় ৭ সেপ্টেম্বর ‘মনখালির জসিম হত্যায় এক মাসেও আটক হয়নি সন্দেহজনক অপরাধীরা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিশেষ মহলের ইন্ধনে বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একটি মহল সংবাদটি প্রচার করিয়েছে। সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই।

গত ২৮ জুলাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের হাতে নিহত জসিম উদ্দিন আমার চাচাত ভাই।
তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, এটা কোন সন্দেহ নেই। এধরনের নৃশংস হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায়না।
হত্যাকান্ডের বিচার হোক, প্রকৃত খুনিরা ধরা পড়ুক। খুনিদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কিন্তু ‘আলোকিত কক্সবাজার’ নামের অনলাইনে আমার ছবি দিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। যা ঘাতকদের রক্ষার নতুন মিশন।
আমি রিজেন্ট গ্রুপের ইমামের ডেইল এলাকার ইনচার্জ, মুরগির বাচ্চার খাদ্য, ওষুধ সরবরাহকারী এজেন্ট। পাশাপাশি আমি একজন পরিচিত মাছ ব্যবসায়ী। আমার কোটি টাকার বৈধ ব্যবসা রয়েছে। তথাপিও সংবাদে আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানো হয়েছে। যেটা চরম মানহানিকর।
গত ২৮ জুলাই রাতে আমার চাচাত ভাই জসিমকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন দুপুরে মনখালী মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে জসিমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয় নিহত জসিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি। উক্ত মোবাইল ফোন থেকে জসিমকে করা সর্বশেষ ফোন নাম্বারসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে আশিকসহ কার মোবাইল নং ছিল সবই প্রশাসন অবগত।নিহত ব্যক্তির ব্যবহৃত কল রেকর্ড বের করলে আসল রহস্য বের হবে। এছাড়াও জসিমের লাশের অদুরে আশিকের খামার বাড়ি। সেখান থেকে ইয়াবার বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছিল পুলিশ । মুলত খুনের সাথে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে রয়েছে স্থানীয় ইয়াবা ব্যবসায়ী আশিক। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা। সে ঘটনার পরদিন থেকে আত্মগোপনে চলে গেছে।
আমি মনে করি, নির্মম হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচারপ্রাপ্তি থেকে নিহতের পরিবারকে বঞ্চিত ও প্রকৃত খুনিদেন রক্ষার অপচেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল।
আমাদের পারিবারিক এবং সামাজিক শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রকাশ করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চলছে।
মামলা দায়েরের কয়েকদিন পর নিহতের পরিবারের সদস্যরা আমার রক্তমাখা শার্ট উদ্ধারের যেকথা সংবাদে লেখা হয়েছে, তা একেবারেই সাজানো।
আমার রক্ত মাখা শার্ট কোথা থেকে পেলো? কিভাবে পেলো? তা জানিনা। শার্ট আদৌ রক্তমাখা ছিল কি না? তা পরীক্ষা করা হউক।
বড় ভাই জহির আহমদের কোন মামলা নাই। একটা নির্বাচনীয় মামলা ছিল, তাতেও জামিনে আছেন। আর মেয়ে শাপলাপুর মাতৃ কল্যাণ সমিতিতে তিন বছর যাবত কর্মরত আছেন।
জসিম হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করেছেন বড় ভাই জহুর আহমদ চৌধুরী।
ঘটনার পর থেকে আসল রহস্য বের করতে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংবাদে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এসব প্রপাগান্ডা, অপপ্রচার না করে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তে সহায়তা করুন। অনর্থক মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত না করতে অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
তোফায়েল আহমদ
মনখালী, উখিয়া, কক্সবাজার।