মাহদী হাসান রিয়াদ
উত্তরা মুন্সী বাজার বায়তুল মুমিন মাদ্রাসার গেইটের পাশে অবস্থিত  দেওয়ালটি আমার নজর কেড়েছিল। বেশ কিছুক্ষণ অপলক দৃষ্টিতে অবাক বিস্ময় তাকিয়ে ছিলাম। সে-দেওয়াল লম্বা সময় ধরে ভাবিয়ে ছিলো আমায়।
বলা যায় পুরোপুরি স্তব্ধ করে দিয়ে ছিলো।ভালোও লেগেছিলো বেশ।
দেওয়ালটি বাকিসব দেওয়ালের ন্যায় স্বাভাবিক একটি দেওয়াল। নিশ্চয়ই ইট ধারা নির্মিত। সিমেন্টের আস্তর। এবার হয়তো ভাবছেন এ-দেওয়াল নিয়ে এতো মাথাব্যথা কেনো আমার?
মাথাব্যথা তো হবেই/হওয়ার কথাও বটে।কেনোনা,দেওয়ালটিতে ছিলো ভিন্ন কিছু! সবদিক থেকে স্বাভাবিক হলেও,একদিক থেকে ছিলো অস্বাভাবিক।যা-আমাকে পীড়া দিয়েছে,আহত করেছে আমার হৃদয়কে।আবার পুলকিত ও করেছে বেশ।
সে-দেওয়ালে ছিলো একটি ডিজিটাল ব্যানার।হেডলাইনে বড়সড় অক্ষরে লেখা ছিলো ‘মানবতার দেওয়াল’।
লেখাটির নিচে ঝুলছিল পুরনো- আধপুরনো কাপড়।তবে,অনেকের কাছে বোধহয় এগুলোই রাজকীয় পোষাক।কিংবা বালবাচ্চার বিবিধ হাসির খোরাক। কিবা নিজেকে পরিপাটি করে উপস্থাপন করার মাধ্যম। অথবা সুশীল সমাজের কোণা চোখ গুলোকে রুকে দেওয়ার যন্ত্র।
প্রতিটি হাটবাজারে, গ্রাম-গঞ্জে,ওয়ার্ড-ইউনিয়নে,উপজেলা-জেলায়, সর্বোপরি গোটা  দেশ জুড়ে গড়ে উঠুক ওই দেওয়াল।
যে-দেওয়াল কথা বলে। যে-দেওয়াল জাগিয়ে দেয় ঘুমিয়ে থাকা মনুষত্ব।যে-দেওয়াল পাশে দাঁড়াই ছিন্নমূল মানুষের।যে-দেওয়াল হাসি ফুটাই অসহায় বস্ত্রহীনের। যে-দেওয়াল ভাবায়/কাঁদায়। সে-দেওয়াল ‘মানবতার দেওয়াল’।