গত শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) একটি অনলাইন পত্রিকায় আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ এনে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।

প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আমি একজন সামান্য ব্যবসায়ী। মধ্যম নয়াপাড়া বাাজারে ছোট একটি সিমেন্ট ও মুদি দোকান করে কোনো মতে পরিবার জীবন যাপন করছি। আমি ইয়াবা ব্যবসাতো দূরের কথা, ইয়াবা ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট কারো সাথেও আমার কোনোর রকম সম্পর্ক নেই। আমি সকাল ৭টায় থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত একটানা দোকানে বসে বেচাকেনা করি। এসময়ের মধ্যে কোথাও আমার যাওয়া হয়না। এমনকি কোনো অপরিচিত লোকজনও আমার কাছে আসে না। একই সাথে আমি একটি ভিসা এজেন্সির প্রতিনিধি হিসেও কাজ করি। সেখান থেকেও অল্প পরিমাণ বেতন পাই আমি।

ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ সমিতি (ব্র্যাক, প্রত্যাশী ও কৃষি ব্যাংক) থেকে ১০ লাখ লোন নিয়ে আমি আমার দোকানটা পরিচালনা করছি। এই সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে দেখানো যাবে। আমি খোঁজ নিয়ে জেনেছি, পারিবারিক ও ব্যবসায়িকভাবে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে আমার এলাকার কিছু লোকজন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাংবাদিকদের কাছে আমার নামে ইয়াবা ব্যবসার মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে। সাংবাদিকেরা মিথ্যা তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই না করে সংবাদটি পরিবেশন করেছেন।

আরেকটি ঘটনা ঘটনা এখানে উল্লেক করতে হয়। তা হলো, আমি দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বাড়িতে আগুন লেগে আমার সর্বস্ব পুড়ে গেছে। পরে আমার সৌদি কপিল ও বন্ধুদের আর্থিক সহযোগিতায় আমি একটা পাকা বাড়ি করেছি। ওই বাড়ি নির্মাণ করায় আমার এলাকার কিছু মানুষ প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে উঠেছে। আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশে এই ইস্যুটিও রয়েছে। তারপরও সাংবাদিকদের ভাইদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনারা সরেজমিন পরিদর্শনে এসে আমার প্রকৃত চিত্র দেখে যান। একই সাথে এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে তার সত্যতা নিশ্চিত করুন।

পরিশেষে আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা জঘন্যমূলক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এ ব্যাপারে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।

প্রতিবাদকারী
নবিউল হক

পিতা-সুলতান আহমদ
উত্তর ডিকপাড়া, পিএমখালী, কক্সবাজার সদর।