৪ বছর ধরে ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপে’র সভা হয়নি

হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

৫ সেপ্টেম্বর সীমান্ত জনপদ টেকনাফবাসীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। ১৯৯৫ সনের ৫ সেপ্টেম্বর বর্ষণ মুখর দিনে বাংলাদেশের টেকনাফ এবং মিয়ানমারের মংডু টাউনশীপে পৃথক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঝাঁকজমক ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছিল। আজ টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য ২৪ বছর অতিক্রম করে ২৫তম বছরে পদার্পন করেছে। এসব অনুষ্ঠানে উভয় দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সাংসদ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মিডিয়াকর্মী উপস্থিত ছিলেন। স্বল্প পরিসরে চালু হওয়া সীমান্ত বাণিজ্য হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ২৪ তম বর্ষে পদার্পন করেছে। অবকাঠামোসহ নানা ধরণের সমস্যা এবং সীমাবদ্ধতা থাকা সত্বেও সরকার টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য থেকে প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে আসছে। রপ্তাণী বাণিজ্যের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে নিত্য নতুন আইটেমের পণ্য।

১৯৯৫ সনে ৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য চালু হওয়ার পর অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঘটনা বহুলের মধ্য দিয়ে ২৪তম বর্ষ সম্পন্ন করে আজ ৫ সেপ্টেম্বর ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করলেও এই বর্ষপূর্তি এবং নববর্ষে পদার্পন উপলক্ষ্যে কাষ্টমস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানী-রপ্তানীকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন বা সরকারী বেসরকারী কোন সংস্থা কোন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেনি। স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া এই সীমান্ত বাণিজ্য বর্তমানে সম্ভাবনাময় বিশাল ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

এদিকে দেরীতে হলেও সীমান্ত বাণিজ্যের গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে ক্রমান্বয়ে তা নিরসন করতে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’। বাংলাদেশের টেকনাফ ও কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের মংডুসহ বিভিন্ন শহরে ইতিমধ্যে এই গ্রুপের ৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাগুলোতে সীমান্ত বাণিজ্য সম্প্রসারণ সমস্যা সমূহ দুরীকরণের সুপারিশ এবং প্রস্তাব তৈরি বিশেষতঃ বর্ডার হাট চালু ইত্যাদি চুড়ান্ত করা হয়েছিল। যা টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য কার্যক্রমে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে উভয় দেশ আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল। কিন্ত গত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্টিত হয়নি।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, টেকনাফ-মংডু সীমান্ত বাণিজ্য চালু হওয়ার পর প্রথম ৪ আর্থিক বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত বার্ষিক রাজস্ব আয়ের কোন লক্ষ্যমাত্রা ছিলনা। ১৯৯৫-১৯৯৬ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭৯ লাখ ৯৮ হাজার ১১৬ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৭ টাকা। ১৯৯৬-১৯৯৭ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ২৫৮ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ১ কোটি ৮১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮৬ টাকা। ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ কোটি ৫১ লাখ ৮১ হাজার ৯৫ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল- ২ কোটি ২৭ লাখ ৪০ হাজার ৭৮০ টাকা। ১৯৯৮-১৯৯৯ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৯ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ৭৪ লাখ ১০ হাজার ৯৭৩ টাকা। ১৯৯৯-২০০০ অর্থ বছরে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৮ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার ৩২৬ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৬৫ টাকা। ২০০০-২০০১ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিলনা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৯ কোটি ৮লাখ ৯২ হাজার ৭১৫ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯৭ টাকা। ২০০১-২০০২ অর্থবছরে বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ৯৯ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৭ টাকা। ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ কোটি ৭৮ লাখ ১৫ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ২৭ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৭ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ১ কোটি ৮৯ লাখ ২১ হাজার ৩৭৬ টাকা। ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ কোটি ২৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার ৯২৩ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ২ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৭৪২ টাকা। ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫৬ হাজার ৬৬৭ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ১ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ৪২০ টাকা। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭৪ কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার ৫৮৭ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ৫৬ হাজার ৪২৫ টাকা। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৮ কোটি ২৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৮৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭১ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ২ কোটি ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৯৫ টাকা। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ৬৯ কোটি ৯৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩০১ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৪ হাজার ৩৮২ টাকা। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৯ কোটি ৩ লাখ ১১ হাজার ৬২৮ টাকা। রপ্তানী মূল্য ছিল ৮ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৭৮৪ টাকা। ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে ৬৮ কোটি ২১ লাখ ৫২ হাজার টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব আয় করেছিল ৭৫ কোটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮৬০ টাকা। রপ্তানী হয়েছে ১১ কোটি ৮২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩০ টাকা মূল্যের পণ্য। ২০১০-২০১১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৪ কোটি ৪২ লাখ ৭২ হাজার টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৩৭ লাখ ৮৮ হাজার ২ শত ৬৭ টাকা। উক্ত অর্থবছরে ১১ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ৬শত ৫৫ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য টেকনাফ বন্দর দিয়ে মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে। ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর টেকনাফ স্থল বন্দর কাষ্টম্সকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করে দিয়েছিল ৮৪ কোটি ২২ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। সেহিসাবে মাসিক লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৭ কোটি ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩ টাকা ৩৩ পয়সা। রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ৯৭ টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ৫২ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ৫৫২ টাকা। রপ্তানী হয়েছে ৫৫২ টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১০ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমারে রপ্তানী হয়েছে। ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে সব মিলে রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ৭৪৮ টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ৬২ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬০ টাকা, রপ্তানী হয়েছে ৫৩০ টি বিল এক্সপোর্টের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৭১ লাখ ৩৭ হাজার ৮৮৪ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে সব মিলে রাজস্ব আয় হয়েছে ২ হাজার ৬০৪ টি বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে ৭৫ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার ১৪৪ টাকা, রপ্তানী হয়েছে ৭০০ টি বিল এক্সপোর্টের মাধ্যমে ২২ কোটি ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৫৭৯ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমসকে বার্ষিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৪৮ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস্ ২ হাজার ৩২১টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে রাজস্ব আয় করেছে ৪৫ কোটি ৪৫ লক্ষ ৭০ হাজার ৪২ টাকা। যা ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ কোটি ৪০ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৫৮ টাকা কম। উক্ত অর্থবছরে ৭২২টি বিল অব এক্্রপোর্টের মাধ্যমে ৩৩ কোটি ২১ লক্ষ ৩১ হাজার ৭৬৪ টাকা মূল্যের বাংলাদেশী পণ্য টেকনাফ স্থল বন্দর দিয়ে মিয়ানমারে রপ্তাণী হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমসকে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক বাজেট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৭০ কোটি টাকা। উক্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস সর্বমোট রাজস্ব আয় করেছে ৭১ কোটি ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। যা নির্ধারিত বার্ষিক বাজেট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ২ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা বেশী। উক্ত অর্থবছরে ৩৭ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬ হাজার টাকা মুল্যের ৫ হাজার ১০১ মেট্রিক টন পণ্য বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রপ্তাণী হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। রাজস্ব আয় হয়েছিল ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৩১ হাজার টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ কোটি ২৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা বেশী। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক বাজেট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ৯০ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা। উক্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস সর্বমোট রাজস্ব আয় করেছে ১৩২ কোটি ৫ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা। যা নির্ধারিত বার্ষিক বাজেট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ কোটি ১০ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা বেশী। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক বাজেট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল ১৪৭ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। উক্ত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে টেকনাফ স্থল বন্দর কাস্টমস সর্বমোট রাজস্ব আয় করেছে ১৭৯ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। যা নির্ধারিত বার্ষিক বাজেট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১ কোটি ৬২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা বেশী।

টেকনাফ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ দিদার হোসেন ৪ সেপ্টেম্বর রাতে বলেন, ‘বাংলাদেশের ব্যবসায়ীগণ রোহিঙ্গা ইস্যুতে গত কয়েক বছর ধরে মিয়ানমারে যেতে পারছেননা। সীমান্ত বাণিজ্যের গতিশীলতা ও রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মিয়ানমারে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা অতি জরুরী। শাহপরীরদ্বীপ ক্যাডল করিডোর ও টেকনাফ স্থল বন্দরে এখনও ব্যাংকের কোন শাখা চালু করেনি। গত ৪ বছর ধরে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্টিত হয়নি। তা সত্বেও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের কমিশনার মহোদয়ের বিচক্ষণ দিক-নির্দেশনা ও জবাবদিহিতা, স্থানীয় প্রশাসন, আমদানি-রপ্তানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় প্রায় প্রতি বছরই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী রাজস্ব আয় হচ্ছে। বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং বিরাজমান সমস্যা নিরসন করা হলে আরও বেশি রাজস্ব আয় করা সম্ভব হবে’।