মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

গত মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ৩৮-৩৯ নম্বর সীমান্ত পিলারের নিকট প্রাপ্ত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। লাশটি হলো-লম্বশিয়া লোহাড় ব্রিজের ১ নম্বর রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের ডি ব্লকের ১৩ নম্বর ঘরের রোহিঙ্গা শরনার্থী রুস্তম আলী ও শের বানু’র পুত্র মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৫)। সে ও তার পরিবার ২০১৭ সালের আগস্টে শরনার্থী আগমনের ঢলের মধ্যে মিয়ানমারের মংডুর বলিবাজারের হোয়াইচং থেকে বাংলাদেশে চলে আসে।নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ এ তথ্য সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা রোহিঙ্গা শাহজাহানের লাশ ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের কাছে সিআইসি’র মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে।
প্রসঙ্গত, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের কাছাকাছি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত হতে পুলিশ গত মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর অজ্ঞাতনামা এক ব্যাক্তির পা বিচ্ছিন্ন ও চোখ উপড়ানো একটি লাশ উদ্ধার করে। সীমান্তের বাংলাদেশ অংশেই এ মরদেহ পড়েছিল। সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর আগে পুতে রাখা স্থল মাইন বিস্ফোরণে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশ।