ইমাম খাইর, সিবিএন:
যৌন হয়রানী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ে গ্রামে গঞ্জে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আইনের চর্চা বাড়ানো দরকার।
কেয়ার বাংলাদেশ এর নতুন প্রকল্পের সূচনা উপলক্ষ্যে সভায় বক্তারা এমন অভিমত প্রকাশ করেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলীর একটি তারকামানের হোটেলের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেড অফ এইড ডেভেলপমেন্ট র্কপোরেশন, হাই কমিশন অফ কানাডা পেড্রা মুন মরিস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেয়ার বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়া চৌধুরি।
সভায় জানানো হয়-এই প্রকল্পটি কাজ করবে যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং নারী ও কিশোরীদের অধিকার উন্নয়নে। প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হল- যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য সমুন্নত করা ও উচ্চমান বৃদ্ধি এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার শিকার নারীদের সেবা গ্রহণে প্রবেশাধিকার বাড়ানো।
এই প্রকল্পটি ছাড়াও সম্প্রতি কেয়ার বাংলাদেশ “প্রেরনা” নামক আরও একটি প্রকল্পের র্কাযক্রম শুরু করেছে রামু, মহেশ খালি ও কক্সবাজার সদর উপজেলায়। প্রকল্পটির র্কাযক্রমের আওতায় রয়েছে মাল্টি পারপাস সাইক্লোণ সেন্টার স্থাপন এবং ২০০ এর অধিক ঝুঁকির্পূণ বাড়িঘর পুনঃর্নিমাণ, যা কিনা র্দুযোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করবে।
এ ছাড়াও কেয়ার বাংলাদেশ কক্সবাজার সদর, রামু, চকোরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে কাজ করছে যা কিনা স্থানীয় জনগনের অসংক্রামক ব্যাধি নিরাময়ে সেবা গ্রহনে সহায়তা করবে।
এতে করে ৯ হাজারেরও অধিক জনগন সরাসরি কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাসমূহ উপকৃত হবে।
সভায় আরো জানানো হয়- কেয়ার বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক র্কাযক্রম বাস্তবায়ন করছে। সম্প্রতি আরও একটি নতুন প্রকল্পের র্কাযক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কক্সবাজার সদর উপজেলাসহ চকরিয়া, পেকুয়া ও মহেশখালি উপজেলার মোট ১১,৪৫৩১ জনগন সেবার আওতাভুক্ত হবে। কেয়ার বাংলাদেশ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, আইন ও বিচার ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবাসমূহ এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তর এর সাথে সমন্নয় এর মাধ্যমে কাজ করে যাবে।
কেয়ার বাংলাদেশ- সেভ দ্যা চিলড্রেন এবং কনর্সারন্ড ওয়মেন ফর ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্টকে সাথে নিয়ে শুরু করতে যাচ্ছে নতুন প্রকল্প “কক্সবাজার জেলায় যৌন প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার জোরদার করা এবং জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সেবা প্রদান। ”
প্রকল্পটিতে কারিগরি সহায়তা প্রদান করে ইউএনএফপিএ এবং র্অথায়নে সহযোগিতা করেছে গ্লোবাল এ্যাফেয়ার্স কানাডা।
সভায় গণমাধ্যমকর্মীদের পক্ষ হয়ে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার নিউজ ডটকম (সিবিএন)এর বার্তা সম্পাদক ইমাম খাইর।
তিনি বলেন, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতারোধে শুধু শহরে সভা সেমিনার করলে হবেনা। গ্রাম গঞ্জে ব্যাপক সচেতনতামূলক সভা-সেমিনার করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাকে প্রচারণামূলক সভা করতে হবে।
সাংবাদিক ইমাম খাইর আসক-এর বরাত দিয়ে সামাজিক অবক্ষয়ের একটি চিত্র তুলে ধরে বলেন, ২০১৮ সালে কক্সবাজার জেলায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০১১টি ও ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে ৮৪টি।
ধর্ষণের পর হত্যা ৩৪, ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা ২টি ও ধর্ষণের পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৭টি। এসবের অধিকাংশ ঘটনার গ্রামের। তাই শহরের চেয়ে গ্রামকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি আয়োজকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।