আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মাঝবয়সী এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তার ১৫ বছর বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লিভারপুল শহর আদালত। বিবাহিত ৪৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকার দুটি সন্তান রয়েছে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, নিয়মিত যৌন সম্পর্ক ছাড়াও ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ওই কিশোরকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এমন দণ্ড দিয়েছেন লিভারপুল ক্রাউন আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত ওই শিক্ষিকার নাম লিডিয়া বেটি-মিলিগ্যান। তিনি একজন সহকারী শিক্ষিকা। তার বিরুদ্ধে আদালতের শুনানিতে বলা হয়েছে, ১৫ বছর বয়সী ওই ছাত্রের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার পর তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে নানান কাজ করতে বাধ্য করাতেন তার শিক্ষিকা।

প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রকে যৌন সম্পর্কে জড়াতে উদ্বুদ্ধ করেন। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে ছাত্রকে নিয়ে আবাসিক হোটেল অবস্থানের পর। আদালতকে ওই শিক্ষিকা বলেছেন, তিনি শুধু ওই ছাত্রকে বিভিন্ন বিষয়ে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। জোরপূর্বক যৌন সম্পর্কের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

তিনি আদালতে বলেন, শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে কোনো আগ্রহ নেই তার। কিন্তু আদালতে তার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন সম্পর্কের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। শুনানির এক ঘন্টার মধ্যেই তাকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে দুবছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

শুনানিতে ছাত্রকে পাঠানো ওই শিক্ষিকার মুটোফোন বার্তা পড়ে শোনানো হয়। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘তুমি খুবই বিস্ময়কর বালক। আমি খেতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না।’ তিনি ওই ছাত্রকে চুমু দেয়ার কথা লিখে মুঠোফোন বার্তার বাক্য শেষ করেছেন।

বিচারক গ্যারি উডহল বলেন, ‘এটা প্রমাণ হয়েছে যে, ওই শিশুর সঙ্গে আপনি শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। আমি এ বিষয়ে যথার্থই বুঝতে পেরেছি। এটা অপরাধ।’ ঘটনাটি প্রথম নজরে আসে ওই শিক্ষিকার একজন সহকর্মীর। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষতে তা অবহিত করলে মামলা করা হয়।