বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
সব ক্ষেত্রে নিরাপদ পানি ব্যবহার জনস্বাস্থ্য রক্ষার অন্যতম শর্ত। কিন্তু পরিবেশে রাসায়নিক দ্রব্য ও জীবাণুর কারণে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানি এখন সবার জন্য প্রায় দুষ্প্রাপ্য। সেজন্য জনস্বাস্থ্যও মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। তাই সারাদেশের মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করতে ৫২টি নতুন পরীক্ষাগার স্থাপন করবে সরকার।

এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। ‘পানির গুণগতমান পরীক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। এর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এটি অনুমোদন পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বর্তমানে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, কুমিল্লা, খুলনা, ঝিনাইদহ, রংপুর, বগুড়া, সিলেট, টঙ্গী, বরিশাল, নোয়াখালীতে (১২টি) পানির পরীক্ষাগার রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে থাকা পরীক্ষাগার থেকে অনেক জেলার দূরত্ব বেশি হওয়ায় নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ এবং পরিবহনে জটিলতা দেখা যায়। সেজন্য অনেক সময় পানি পরীক্ষার সঠিক ফল পাওয়া যায় না। নতুন করে ৫২টি পানি পরীক্ষাগার স্থাপিত হলে সারাদেশের জনগোষ্ঠী এই সুফল পাবে। দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করার মাধ্যমে সেই পানির গুনগত মান সম্পর্কে জানা যাবে। ফলে সারাদেশের মানুষ বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা পাবে।

প্রকল্পটির আওতায় পরীক্ষাগারের জন্য যন্ত্রপাতি, রাসায়নিক দ্রব্য, আসবাবপত্র, অফিস ও ৫২টি মোটর সাইকেলসহ যন্ত্র-সরঞ্জাম কেনা হবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম-প্রধান (ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন উইং-২) রেজাউল আযম ফারুকী বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশে ৫২টি নতুন পানি পরীক্ষাগার স্থাপন করবে সরকার। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রকল্পের আওতায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতাধীন পানি পরীক্ষাগারের সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। নতুন পরীক্ষাগার স্থাপনের মাধ্যমে পানি পরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গতিশীলতা পাবে।