এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই বখাটের হাতে দুই কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাড়ির লোকজনের অনুপস্থিতিতে কিশোরীদের একা পেয়ে বখাটেরা বাড়িতে ঢুকে তাদের ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষিত দুই কিশোরী একে অপরের দু:সম্পর্কের খালা ভাগনী বলে জানা গেছে। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) ভোর রাত দুইটার দিকে উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একদিন পর সোমবার দুপুরে ধর্ষিত দুই কিশোরীর অভিভাবক দুই বখাটে ধর্ষকের বিরুদ্ধে থানায় পৃথক দুইটি এজাহার দায়ের করেছেন। ধর্ষনের শিকার দুই কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বখাটের হাতে ধর্ষনের শিকার এক কিশোরীর পিতা বলেন, গত শুক্রবার হঠাৎ আমার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়িতে মায়ের সাথে (ধর্ষিতার দাদী) আমার কিশোরী কন্যাকে রেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে যাই। পরদিন আমার মাও অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির পার্শ্ববর্তী এক কিশোরীকে আমার মেয়ের সাথে বাড়িতে রেখে মা’কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে যাই। এ সুযোগে দুই কিশোরীকে বাড়িতে একা পেয়ে আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী বেড়াপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে মো. মুছা ও একই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম পুতু আমার বাড়িতে ঢুকে দুই কিশোরীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পৃথক রুমে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি থানা পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষনাত পলিশ বখাটে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পরে পুলিশ ধর্ষনের শিকার দুই কিশোরী উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।

চকরিয়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শফিকুল আলম চৌধূরী বলেন, বিএমচর ইউনিয়নে বখাটের হাতে দুই কিশোরী ধর্ষনের শিকার হয়েছেন মর্মে থানায় পৃথক দুটি এজাহার দিয়েছেন ভিকটিমের অভিভাবকরা। এজাহার হাতে পেয়ে তাৎক্ষনাত পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। তবে এসময় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরও বলেন, ধর্ষনের শিকার দুই কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তাদের ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ধর্ষক বখাটেদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।