সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
রামুতে হিজরি নববর্ষ ১৪৪১ হিজরি বর্ষ বরণের অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর রামু হিজরি নববর্ষ উদযাপন পরিষদের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন- রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল।
তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে ইসলামি সংস্কৃতি পালনের কোন বিকল্প নেই। ইসলামী সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানো দরকার।
তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে উর্বর এক জায়গা রামু। হিজরি নববর্ষের এ আয়োজন রামুকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা দিল।নির্মল ইসলামি সংস্কৃতি পালনে আজকের এই আয়োজন অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।
রামু চৌমুহনী স্টেশন চত্বরে পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা মুফতি আবদুর রশিদ হক্কানির সভাপতিত্বে ও পরিষদের আহবায়ক আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় হিজরি নববর্ষের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা এবং মনোজ্ঞ ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রামু বি আর ডিবির চেয়ারম্যান শামসুল আলম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দিন, মাওলানা মনজুর আহমদ, মাওলানা কাজী সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যক্ষ আওলানা মোহাম্মদ ইদরিস, কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যাপক আবুল মনসুর।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাস্টার ছালামত উল্লাহ,আজিজুল ইসলাম,এস এম নিয়ামত উল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, রহমত উল্লাহ, আহসানুল হক,মাওলানা রেজাউল করিম, সৈয়দ করিম, এস এম ছফিউল্লাহ, খাজা বাকিবিল্লাহ, খাজা সফিউল্লাহ, আবদুল্লাহ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন-হিজরি সন মুসলমানদের নিকট অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। মুসলমানদের দিকে যাবতীয় ইবাদত হিজরিসনকে কেন্দ্রিক করে। মুুসলমাদের কাছে এর কোন গুরুত্ব নেই।বাংলা নববর্ষ,,ইংরেজি নববর্ষ পালন করা গেলে মুসলমান হিসেবে হিজরি নববর্ষ পালন করা আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। নির্মল ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার জন্য আজকের এই আয়োজন।জনসাধারণ যাতে ইসলামি সংস্কৃতির সাথে পরিচয় লাভ করতে পারে সেব্যাপরে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ইসলামি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল দেশবরেণ্য ইসলামি সংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় বিমোহিত ও মনোমুগ্ধকর হামদ, নাতে রাসুল, ইসলামী সংগীত, দেশাত্মবোধক সংগীত গান।