তানভিরুল মিরাজ রিপন

বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতির হালচিত্র বদলে যাচ্ছে। বদলে যাবার দিন গুলো আরো কঠিন হয়ে আসছে। অভিজ্ঞ কূটনৈতিক পরিকল্পনা, সংবিধানের Very Friendly ধারার রদবদল করতে হবে। নয়তো Burden of Geo-political Push-Peo এর ভর নিতে থাকতে হবে।

একদিকে ১৭ লাখ রোহিঙ্গার ভর নিয়ে বিপাকে পড়েছে দেশ,অর্থনীতি।পর্যটন অর্থনীতিও ভঙ্গুর,বাড়ছে উগ্রতা,সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিমানও। অন্যদিকে বাংলাদেশী উল্লেখ করে অসমের ৪০ লাখ নাগরিককে না-নাগরিক( sub-human:Whose are stateless:Rahman Nasir) অফ অসম বলে নাগরিকত্ব কেঁড়ে নিয়েছে ভরত।

বাংলাদেশের আর আব্দুল মোমেন এবং শাহরিয়ারকে দিয়ে হালের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা যাবে না,আমি সুনিশ্চিত নয় যে ঠিক কি কারনে দুজনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হর্তাকর্তা করা হয়েছে।ব্যক্তিগত সমালোচনার দিকে যাওয়ার এখতিয়ার নেই ও সেটি করার আগ্রহও আমার নেই।তবে ইকোনমিস্ট ও আইবিএ থেকে গ্র্যাজুয়েট হওয়া ব্যক্তি দিয়ে হয়তো ব্যবসায়ীক, পুঁজি সংশ্লিষ্ট স্বার্থচুক্তি করা হলেও আমাদের ধাবমান অর্থনৈতিক অবস্থাকে আরো বেগবান করতে কূটনৈতিক অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব্যের প্রয়োজন। শুধু দোষারোপ ভবিষ্যতের শক্তিশালী রাজনীতির জন্য কাল হয়ে দাড়াবে,যদি আমরা সীমান্ত আইনের পরিবর্তন ,সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা সর্বোপরি পররাষ্ট্র নীতির বদলের মাধ্যমেই আমরা শক্তিশালী রাজনীতির প্রথম ধাপ পেরুতে পারবো।

যারা বাংলাদেশ সীমান্ত খুব কাছেথেকে দেখেছেন তারা জানেন বাংলাদেশ সীমান্ত আজও কতটা অরক্ষিত। ২০১৭ সালে আমি বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্তের No-Mens land এর তিনশো গজের ভেতরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম। বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের সাহসিকতা থাকলে সীমান্ত কাঁটাতার না থাকাতে রোহিঙ্গারা কিভাবে এই দেশে প্রবেশ করে তার সুস্পষ্ট কিছু পয়েন্ট আমি দেখেছি। তুমব্রু, ঘুমধুম,বান্দরবানের শেষের দিকে পাহাড়ে পাহাড়ে ঘেরা যে অরক্ষিত জায়গা গুলো রয়ে গিয়েছে সেগুলো রক্ষিত করার কোনো উদ্যোগ বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি।

পতাকা বৈঠক অথবা প্রতিরক্ষা বিষয়ক দুই-দেশীয় বাহিনী নিয়ে যে বৈঠক গুলো সেগুলোর স্ক্রীপ্ট গুলো কবের লেখা এবং কতোতম ব্যাটালিয়নরা পড়ছে তার কোনো ইয়ত্তা নাই। বছরের পর বছর একই কাগজ একই নিয়মে পড়লে রাষ্ট্রনৈতিক নিরাপত্তা নীতিগুলো এসপারওসপার কিস্যু হবে না। সুতরাং ভাবনার,পরিবর্তন খুবই জরুরি হয়ে দাড়িয়েছে। সীমান্ত সব সময় গরু আমদানি, ইয়াবা,ফেনসিডিল আমদানির জন্য নয়। সীমান্তের কাঁটাতারের আধুনিকতা প্রমান করে দেয় দেশ কতটা সুরক্ষিত। কারন,প্রয়োজনই আইন সৃষ্টি করে,প্রয়োজন সৃষ্টি করে রদবদলের প্রয়োজনীয়তা। শীঘ্রই যদি কাঁটাতারের উচ্চতা ও কূটনীতিক কৌশলগত পরিবর্তন না আনা হয়, এই ভূ-খন্ড একদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চীন-ভরত,রাশিয়া-মার্কিন মুলুকের Battle Ground এ পরিবর্তন হবে। সউদি এরবের অর্থনৈতিক অবস্থান খুবই নাজুক,মোড়লপনার দেখানোর মত দেশ ও দশ আর নাই। রিসোর্স গুলোর দখলে প্রায় এমেরিকা,ব্রিটিশরা। সুতরাং ১৪০ মার্কিন ডলারের তেলের দাম তিনবছর ধরে ৭০ থেকে উঠছে নামছে না। সেহেতু তেল দুনিয়ার মুখ এখন অন্যদিকে তাক করেছে International Conflict Politician’রা।

পৃথিবীর অর্থনীতির বাক পরিবর্তন করে মুখ নিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দিকে। মার্কিন পরাশক্তির অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছে অর্থাৎ ছোট হয়ে এসেছে। ল্যাটিন আমেরিকার এবং নিজেদের আঞ্চলিক জোটগুলোতে আমেরিকাকে পলিটিকালি একঘরুয়া করে রাখতে সক্ষম হয়েছে। সুতরাং চীনের এই উত্তানে আমেরিকার নতুন শত্রু হয়ে দাড়াবে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। অর্থনৈতিক বাজার দখলে চীন এখন আমেরিকার চেয়ে মোটামুটি এগিয়ে বলা চলে। সুতরাং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সংঘর্ষের রাজনীতির সবথেকে বড় শিকার হবে বাংলাদেশ। সে লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে দিতে বাংলাদেশের Very Friendly নীতির রদবদল অবশ্যই দরকার আছে। এদিকে সার্কের ভূমিকা একেবারে কমে এসছে সেহেতু বিমসটেক উত্থিতও হয়েছে। সেটি পরিলক্ষিত হয়েছে মোদীর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার শপথ অনুষ্ঠানে৷ সংস্কার নিজেদের জন্য প্রয়োজন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকা কালীনই সেটির সুবর্ণ সুযোগ বলে ধারনা করছি৷ কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের সমাধান ঝুলে আছে একমাত্র ইসরায়েলের ভূমি দখলদ্বারিত্বের কারনে। আন্তর্জাতিকভাবে ভান ধরা সংঘর্ষের সমাধান আমার ব্যক্তিগত বিশ্লেষণ থেকে মনে হয়েছে খুব শীঘ্রই হবে। সে সংঘর্ষের নতুন স্থান বাংলাদেশ মায়ানমার সীমান্ত । নতুন করে আরো একটি সমস্যার সৃষ্টি হবে সেটি অসমের ৪০ লাখ নাগরিকত্ব বাতিল, এবং তাঁদের বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী বলে মিডিয়াকে গিলানো। সেটি বাংলাদেশী মিডিয়া গিলেও ফেলেছে। বাংলাদেশ মিডিয়া পরিচালকদের ইতিহাস সচেতনতার দরকার আছে,বাংলা ভাষার উত্থান আসাম থেকে৷ সুতরাং শিরোনাম দেওয়ার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার দরকার পড়ছে না তারা বাংলাভাষী। আদতে অসম বাংলাভাষী লোকেদের জায়গা।

রাষ্ট্র যখন চাইবে,রাজনৈতিক কারনে যাকে তাকে নাগরিকত্ব বাতিলের হুমকি দিতে পারে,নাগরিকত্ব কেঁড়ে নিতেও পারে।এটি কি খুবই মানবিক? বলতেই হয়, মানুষ একটি রাজনৈতিক জীব। সুতরাং রাজনীতি যেটা চাইবে মানুষকে সেভাবে খুন হতে হবে, বাস্তহারা হতে হবে। হয়তো ধর্মীয় ভাবাবেগকে ব্যবহার করে সংঘর্ষের রাজনীতির দাবা খেলা হচ্ছে। এটিও মিথ্যে নয় যে,ধর্মীয় গ্রন্থগুলোও “ রাজনৈতিক ইশতেহার”।

মানুষের জন্যও যেমন রাষ্ট্রের প্রয়োজ, রাষ্ট্রকে রাষ্ট্র করতে হলেও মানুষেট প্রয়োজন।