বিদেশ ডেস্ক:

আসাম সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকায় যেসব দরিদ্র মানুষের নাম বাদ পড়বে, তাদের বিনা খরচে আইনি সহায়তা দেওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করবে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ তথ্য জানিয়েছে।

শনিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় অনলাইনে ও এনআরসি সেবাকেন্দ্রে প্রকাশিত আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। এক বিবৃতিতে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকায় মোট আবেদনকারীদের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন।

তালিকা প্রকাশের কয়েকদিন আগে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার আসাম সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দফতর) কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ এক বিবৃতিতে বলেন, যাদের নাম এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়বে, বিদেশি ট্রাইবুনাল তাদের বিদেশি ঘোষণা না করা পর্যন্ত কোনও অবস্থাতেই তাদের আটক করা হবে না। তিনি বলেন, “জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার মাধ্যমে এনআরসি তালিকায় নাম-না-থাকা দরিদ্র মানুষদের আইনি সহায়তার বিষয়ে সবরকম সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।”

১৯৪৬ সালের বিদেশি আইনের আওতায় এবং ১৯৬৪ সালের বিদেশি (ট্রাইবুনাল) নির্দেশিকা মোতাবেক কেবলমাত্র বিদেশি ট্রাইবুনালই কোনও ব্যক্তিকে বিদেশি ঘোষণা করতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এনআরসি-তে কোনও ব্যক্তির নাম না থাকার কারণে তিনি বিদেশি বলে ঘোষিত হচ্ছেন না। যাদের নাম চূড়ান্ত এনআরসি তালিকায় উঠবে না, তাঁরা ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব বিধির ৮ নং তফশিল অনুসারে আবেদন করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় সরকার ইতোমধ্যেই আবেদনের সময়সীমা ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করেছে এবং এ সম্পর্কিত সংশোধনীও পাশ হয়ে গেছে। এদিনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে বিদেশি ট্রাইবুনালে যাতে আবেদন জানানো যায়, সে কারণে ২০০ বিদেশি ট্রাইবুনাল স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা খুব তাড়াতাড়ি জারি করবে রাজ্য সরকার।