কবির আহমেদ কবি

রোহিঙ্গা অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই, একটু শান্তির নিশ্বাস নিতে চাই। নিজ জন্মভূমিতে নির্ভয়ে বাঁচতে চাই।

এক সময় ঘর থেকে ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে উখিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পৌছে ক্লাস করতে পারতাম। ঠিক টাইমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারতাম, কোন পেইন ছিলোনা।
এখন ক্লাস করতে গেলে ভোর সকালে কলেজ বাস ধরতে হয় পৌছাতে পৌছাতে ক্লাস করার মন মানসিকতা আর থাকেনা, মানবতার জ্যামে আটকে পড়ে মাতাল হয়ে যাই।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গেলে ঠিক টাইমে পৌছাতে পারবতো এই চিন্তায় রাতে ঘুম হয়না।
নেই সেই শান্ত পরিবেশ। চারদিক যেন নরক!!

৩০ মিনিটের কলেজ পথ এখন ৩ ঘন্টা লাগে পোছাতে, কখনো কখনো আচমকা রাস্তার মাঝখানে গাড়ী ডুকে পড়ে!!! আর আটকে যাই হাজার হাজার গাড়ী!!! এ যেন গাড়ীর বন্যা!! এমন ভয়াবহ জ্যামে আটকে পড়লে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়না😥😥

এক সময় কক্সবাজার যেতে পারতাম ২ ঘন্টায়, এখন কক্সবাজার যেথে লাগে মাত্র ৫ ঘন্টা😥😥
মানবতা দেখালে যা হয় আর কি খুশির ট্যালায়।

ইমার্জেন্সি কোন রুগীকে নিয়ে হাসপাতাল পোছানোর আগেই রোগী মারা যাবার সম্ভাবনা বেশী থাকে সকালে উঠলে হাসপাতাল পৌছাতে রাত নেমে আসে। মানবতা যখন চোঁখ দিয়ে ঝরে তখন হয়তো এমনটা হয়!

জ্যামের কথা সে কি বলব আর উখিয়া থেকে কোর্ট বাজারের মাত্র ১০ মিনিটের যাত্রা পথ এখন ৫০ মিনিটে রূপধারণ করেছে!
মাবতা যখন বস্তায় বস্তায় সস্তা পায় হয়তো এমনটা হয়।

থাক গা এসব জ্যাম থেম!!!

উখিয়া টেকনাফের স্থানীয় মানুষ গুলোর এখন ঘুম নেই ভাবনা আসে কখন যানি এসে লইনচা মারে!!
যে ভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র বানানো হচ্ছে, যেভাবে আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, যেভাবে হুমকি দিচ্ছে মনে হচ্ছে এই জন্মভূমিতে তারাই আসল আমরা নকল।

অচেনা রোগের আবির্ভাব হচ্ছে, সব দিকে পেইন এই রোহিঙ্গা নিয়ে,
মানবতা দেখিয়ে আজ অকালে বলি হয়েছে কত যুবকের প্রাণ।

এই মানবতা আর চাইনা, নির্লজ্জ বেহাইয়া অকৃতজ্ঞ রোহিঙ্গা জাতী আজ উঁচু গলায় হুমকি দিচ্ছে আমাদের।

চাইনা এই মানবতা
মুক্তি চাই এই অভিশাপ থেকে,
একদফা এক দাবী,
রোহিঙ্গা মুক্ত উখিয়া-টেকনাফ চাই।