মুহাম্মদ মনজুর আলম,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে মুন্নি আক্তার (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণের চেষ্টা চালিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এসময় অপহরণকারীদের কবল থেকে বাঁচতে ওই কলেজ ছাত্রী সিএনজি অটোরিক্সা থেকে লাফ দিয়ে আত্মরক্ষা পেলে ও মারাত্মকভাবে আহত হন। মঙ্গলবার বিকাল ২টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের জিদ্দাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মুন্নি আক্তার কাকারা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড়ের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের মেয়ে।

কলেজ ছাত্রী মুন্নি আক্তারের পিতা মোজাম্মেল হক জানান, চকরিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের মানবিক শাখায় পড়েন তার মেয়ে। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজের ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার জন্য চকরিয়া পৌরশহরের চিরিংগা সিএনজি ষ্টেশনে আসে। মুন্নি সিএনজি অটোরিক্সার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করেন সেখানে। পরে কাকারা রওনা দিতে জনৈক চালক কবির হোসেনের সিএনজিতে উঠে বসে। চালক আরও ৪জন যাত্রী নিয়ে কাকারার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

তিনি আরও বলেন, অটোরিক্সাটি জিদ্দাবাজার এলাকায় পৌছালে যাত্রী বেশে উঠা ৪জন সন্ত্রাসী আমার মেয়ে মুন্নিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে। পরে চালক গাড়িটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চেষ্টা করে। এসময় মুন্নিকে অপহরণের চেষ্টাা চালায় তারা। একপর্যায়ে কলেজ ছাত্রী মুন্নি চলন্ত গাড়ি থেকে লাফ দিলে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে অটোরিক্সাটি ফেলে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় লোকজন মুন্নিকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মো. রেজাউল হক বলেন, কলেজ ছাত্রীর মুন্নির মুখমন্ডল তেতলে যায়। নাকের হাড়ও ভেঙ্গে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) একেএম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, চকরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী মুন্নিকে অপহরণের চেষ্টার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। অপহরণে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অপহরণে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিক্সাটি জব্দ করা হয়েছে।