মুক্তি কক্সবাজার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ১৯৯৬ সাল থেকে সরকারের পাশাপাশি রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে মুক্তি কক্সবাজার। বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস-সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে কক্সবাজার জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিনিয়ত এবং নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সংস্থাটি।

গত ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায় যে, “রোহিঙ্গাদের জন্য দেশীয় অস্ত্র তৈরী করছে মুক্তি”। এই ধরনের সংবাদ দুঃখজনক, অনভিপ্রেত, মানহানিকর এবং সংস্থার জন্য নিশ্চয় বিব্রতকর।

বিষয়টির আদ্যপ্রান্ত এবং সঠিক তথ্য নিশ্চিত না হয়ে, এমন সংবাদ প্রকাশ দায়িত্বশীল ব্যক্তি এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে অপ্রত্যাশিত বটে। এ বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে বিষয়টি কক্সবাজারবাসীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করা আবশ্যক বলে মনে করছি।

মূল বিষয় হচ্ছে মুক্তি কক্সবাজারের পক্ষ থেকে টেকনাফ উপজেলাধীন হ্নীলা ইউনিয়নের ৩ টি ওয়ার্ডে ৬০০ স্থানীয় উপকারভোগী পরিবারে সবজি চাষ প্রশিক্ষণ পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ প্রদানের লক্ষ্যে সবজি বীজ, চারা, ভারমি-কমপোস্ট সার,পানির জার ও নিড়ানী সরবরাহের জন্য প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এ বিষয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে গত ২৫ জুলাই ২০১৯ তারিখ মের্সাস কৃষি বিপনী (প্রোপাইটার: মোহাম্মদ আজিজুল হক (ঠিকানা বিমানবন্দর সড়ক মহিলা কলেজের সামনে কক্সবাজার) কে ২৬০০পিস নিড়ানী, সেক্স ফেরোমন ট্রাপ (গন্ধ যুক্ত কিটনাশক) ২৬০০পিস এবং পাইপ নজল (স্প্রেয়ার) ২৬০০পিস সরবরাহ করার জন্য কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। প্রকল্পটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক গত ২৮ মার্চ ২০১৯ তারিখে অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের কপি যথারীতি এফডি-৭ সহ জেলা প্রশাসক কক্সবাজার, আরআরআরসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, টেকনাফ এবং সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পের সিআইসিদের প্রদান করা হয়। গত ৫ মে ২০১৯ তারিখে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, উপজেলায় কর্মরত এনজিও এবং হ্নীলা ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে প্রকল্পটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটির উপকারভোগী বাংলাদেশী প্রান্তিক কৃষকদের বাড়ির আশেপাশে সবজি বাগানের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং তার অধিনস্থ কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করে প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ চলছে। প্রশিক্ষণ শেষে নির্বাচিত উপকারভোগীদের মাঝে উল্লিখিত কৃষি উপকরণ সমুহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মর্কতা এবং হ্নীলা ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বিতরণ করা হবে। প্রকল্পটিতে কোন দেশীয় অস্ত্র তৈরি করা বা বিতরণ করার কোন কর্মসূচী নেই। সুতরাং মুক্তি কক্সবাজারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের মাঝে দেশীয় অস্ত্র সরবরাহের যে অপপ্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

মুক্তি কক্সবাজার, কক্সবাজারের একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী বর্তমানে কর্মরত আছে, যাদের ৯০% কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা। তাই মুক্তি কক্সবাজার’কে জড়িয়ে, সঠিক তথ্য না জেনে, কোন অবাঞ্চিত সংবাদ বা ব্যক্তিগত ফেইসবুকে মতামত প্রদান না করার জন্য সবার প্রতি বিনীত অনুরোধ করছি।

অনুরোধক্রমে-

কার্য নির্বাহী পরিষদ

মুক্তি কক্সবাজার।