ইমাম খাইর, সিবিএন, কুয়াকাটা থেকে :
বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তে সাগরকন্যা খ্যাত অপরূপ এক জায়গা কুয়াকাটা। বরিশালের পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপালী ইউনিয়নে অবস্থিত এ জায়গায় আছে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত। একই সৈকত থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখার মতো জায়গা দ্বিতীয়টি আর এদেশে নেই।
অনিন্দ্য সুন্দর এই সৈকত দেখার সুযোগ হয়েছিল আজ।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক তিনদিনের প্রশিক্ষণ শেষ হয় শনিবার (২৪ আগস্ট)।
রবিবার ছিল দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য স্পেশাল বরাদ্দ।
তাই, ভোর সাড়ে ৪টায় ঘুম থেকে উঠলাম। সকাল ৬ টার নির্ধারিত বিআরটিসি বাসে হয়ে গেলাম কুয়াকাটা। প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা গাড়িতে থাকার পর পৌঁছলাম।
ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে দেখলাম সাগরপাড়। অনেকদিন পরে হলেও বালিয়াড়িতে ড্রাইভ করতে খুব ভালোই লাগছিল।
সমুদ্র সৈকতঃ
কুয়াকাটার বেলাভূমি বেশ পরিচ্ছন্ন। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে এ সৈকত থেকেই কেবল সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সৈকতের পূর্ব প্রান্তে গঙ্গামতির বাঁক থেকে সূর্যোদয় সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়। আর সূর্যাস্ত দেখার উত্তম জায়গা হল কুয়াকাটার পশ্চিম সৈকত।
কুয়াকাটার সৈকত প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। সৈকত লাগোয়া পুরো জায়গাতেই আছে দীর্ঘ নারিকেল গাছের সারি। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে এ বনেও। বিভিন্ন সময়ে সমুদ্রের জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙনের কবলে পড়েছে সুন্দর এই নারিকেল বাগান। সমুদ্রের পানি দিনদিন লোকালয়ে গ্রাস করছে। সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার রক্ষা করতে বেশকিছু জিও বেগ স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালোই লেগেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে।