হারুনর রশিদ, মহেশখালী:

মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নে একটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিলেন মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা। কিশোরী রিয়াজুন নাহার (১৬) বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। সে বড় মহেশখালীস্থ বড় ডেইল গ্রামের আজিজুল হক ও কামরুন নাহারের মেয়ে। বর হতে যাওয়া যুবকের নাম জসিম উদ্দিন(২৬)। সে বড় মহেশখালীস্থ মঞ্জুর আহমেদ ও শামশুন নাহারের ছেলে।
বৃহস্পতিবার তাদের বাল্য বিবাহ হচ্ছে, গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা সরেজমি পরিদর্শন করেন।

এসময় বড় মহেশখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের ছাত্রী কিনা তা যাচায় করেন। যাচায় কালে বাল্য বিবাহ হতে যাওয়া রিয়াজুন নাহার অত্র বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী তার সত্যতা পায়। ছাত্রীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মা এবং মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে হবুবর জসিমের বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়। বর, পিতা, মাতাসহ বাড়ীর সকলেই পলাতক থাকায় কাউকে আটক করা যায়নি।

মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা’র আদালত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় সার্বিক বিষয় আমলে নিয়ে বাল্য বিবাহ দিতে যাওয়ার দায়ে ছাত্রী রিয়াজুনাহারের পিতা আজিজুল হক কে ৩০হাজার টাকা অর্থদণ্ড পরমাইয়াছে। নগদ তা পরিশোধ করে বাড়ীতে ফিরে যায় বাল্য বিবাহ দিতে যাওয়া ছাত্রী ও অভিভাবকরা।

বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা’র সাথে ছিলেন মহেশখালী থানার এসআই মুজিবুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের একটি ইউনিট। এসময় উপস্থিত সকলের উদ্যোশ্যে মহেশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বলেন বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। গরীব পিতার ছেলে মেয়েরা পড়া লেখা করলে,তারা বুঝা না হয়ে সম্পদে পরিণত হবে। আসুন আমরা সকলে মিলেন বাল্য বিবাহকে না বলি,,জনসচেতনতা গড়েতুলি।