মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির তীর্থভূমি। সকল সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান এদেশের চিরায়িত সভ্যতা, সাংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর কক্সবাজার হচ্ছে ভৌগোলিকভাবে বিশ্ববাসীর মিলনমেলার উর্বর ও দৃষ্টান্তযোগ্য একটি অন্ঞ্চল। যেখানে সারাবছরই বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায়, গোত্র, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এসে মহামিলন মেলায় মিলিত হন। সুতরাং এই কক্সবাজারে সব ধর্মের সকল ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সবসময় শান্তিপূর্ণ, নির্ভয় ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বদ্ধ পরিকর। আগামী ২৩ জুন শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব সর্বোচ্চ ও সর্বাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। জন্মাষ্টমীর সকল অনুষ্ঠানমালা শান্তিপূর্ণ ও উপভোগ্য পরিবেশে পালন করতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিক ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করবে।
বুধবার ২১শে আগষ্ট কক্সবাজার জেলা পুলিশ অফিসের কনফারেন্স রুমে শুভ জম্মাষ্টমী উদযাপন উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বী স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম একথা বলেন। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম উপস্থিত সকলকে শুভ জন্মাষ্টমীর আগাম শুভেচ্ছা জানান। তিনি জেলা সদরের মতো সমগ্র জেলায়ও একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উক্ত মতবিনিময় সভায় আগামী ২৩ আগস্ট শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা সহ সফলভাবে অনুষ্ঠানাদি সম্পাদনের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল হক, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শহীদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) বাবুল চন্দ্র বণিক, সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার পিপিএম প্রমুখ। উক্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলার জম্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।