সরওয়ার আজম মানিক:
প্রত্যাবাসনের তালিকাভুক্ত থাকা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার আজ বুধবার শেষ হয়েছে। দুুুুইদিনেই প্রত্যেকের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়। কক্সবাজারের টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরে মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়।
ইউএনএইচসিআর এবং শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধিরা ক্যাম্পে ক্যাম্পে গিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেন।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন, ‘প্রত্যাবাসনের তালিকায় নাম থাকা রোহিঙ্গাদের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। টেকনাফে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ট্রানজিট পয়েন্টগুলোও।
ক্যাম্প ইনচার্জের অফিসের পাশে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ঘর তৈরি করে, যেখানে ৮ টি বুথ করে পর্যায়ক্রমে ৩ হাজার ৫৪০ জনের সাক্ষাতকার নেওয়া হয়।
আগামীকাল ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসনের জন্য ৩ হাজার ৫৪০জন রোহিঙ্গাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এজন্য কাজ করছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ‘ইউএনএইচসিআর’ এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) কার্যালয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট রাখাইনের ৩০টি নিরাপত্তা চৌকিতে একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়।
পুরনোসহ উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শিবিরে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। তবে জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই সংখ্যা ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫৫৭। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।