জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম :

চট্টগ্রাম নগরীর কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জ্যারটেক এলাকায় এক ফল বিক্রেতাকে লাথি মেরে আহত করার ঘটনায় স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করেছেন।

পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা মইজ্জ্যারটেক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে যত্রভঙ্গ করে দেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্য ওই ফল বিক্রেতাকে লাথি মেরে আহত করেন। পরে এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ করে।

ফল বিক্রেতাকে লাথি মেরে আহত করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশর অতিরিক্ত উপ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘সামান্য একটি বিষয়’কে স্থানীয়রা বড় করে ফেলেছেন। নগর গোয়েন্দা পুলিশের এক এএসআই মইজ্জ্যারটেক এলাকায় পেয়ারা কিনতে গেলে পেয়ারা বিক্রেতার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই পুলিশ সদস্য তাকে লাথি মারলে ফল বিক্রেতা আহত হন।

পরে তাকে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহত ফল বিক্রেতাকে তার এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানান ডিবি পুুলিশের এস.আই আলতাফ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ডিহাইড্রেশনের কারণে তার প্রেসার কমে যাওয়ায় মূলত ওই ফল বিক্রেতা অসুস্থ হয়ে পড়েন।’

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহত ওই ফল বিক্রেতার নাম মোহাম্মদ আলী। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। জড়িত ওই পুলিশের এএসআইয়ের নাম তাৎক্ষনিকভাবে পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা মইজ্জ্যারটেক সংলগ্ন কর্ণফুলী সেতু এলাকায় পুলিশ বক্সের সামনে সড়ক অবরোধ করেছে। অন্যভাবে ফল বিক্রেতাকে লাথি মেরে আহত করার ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে তারা সড়ক অবরোধ করে।

স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মহসিন বলেন, ‘একজন নিরীহ মানুষকে এভাবে লাথি মেরে আহত করা ওই পুলিশ সদস্যের উচিত হয়নি। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। জড়িত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করেছেন বলে তিনি জানান।

কর্ণফুলী জোনের সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, উত্তেজিত জনতা পুলিশ বক্সে পাথর ছুড়ে মারলে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুড়ে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।