এ.কে.এম রিদওয়ানুল করিম, কক্সবাজার :

কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নানা ধরনের আলাপ আলোচনা। নতুন নেতৃত্বে কে বা কারা আসছেন ? এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। সমগ্র কক্সবাজার জেলায় ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে বিষয়টি যেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে নেতৃত্বে আসার জন্য নানা প্রচার প্রচারণা ও জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন এমন খবরও প্রকাশ পাচ্ছে। এ নিয়ে অনলাইন পত্রিকার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে নানা গুঞ্জন। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ঘোষিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন। তৃণমূলসহ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মাঝে এ নিয়ে উৎসাহ উদ্দিপনার শেষ নেই। নতুন নেতৃত্বে আসতে পারে এমন কয়েকজনের নাম প্রকাশ পাচ্ছে নেতাকর্মীদের মুখে মুখে। তার মধ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে এবার প্রশংসায় ব্যাপক মূখরিত হচ্ছে এই প্রবাদ ছাত্রনেতার নাম। মুখে মুখে নামটি গর্বের সাথে উচ্চারিত হচ্ছে যা না দেখলে বিশ্বাসযোগ্য নয় ।

জীবন চলার পথে তিনি বহু সমস্যার কষাঘাতে জর্জরিত হলেও যে জিনিসটি তাকে স্পর্শ করতে পারেনি তা হল কর্মহীনতা। আর যে জিনিসটি তাকে আজ পর্যন্ত পরাজিত করতে পারেনি তা হল লোভ। মানুষ বলতেই লোভের কাছে বন্দি। বর্তমানে লোভ লালসা নেই এমন মানুষের খোঁজ পাওয়া বড়ই কঠিন । ক্ষুধা, দারিদ্্র্য, অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও চরম বেকারত্বের কারনে মানুষ আলাহর সৃষ্টির সেরা জীব হয়েও লোভের বশিভূত হয়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, খুন ,অত্যাচার ,অনাচার ,ব্যভিচার ,দখলবাজ, মাদক ব্যবসাসহ মারাত্মক অপরাধমূলক বহু কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এর কোনটি যাকে ঘায়েল করতে পারেনি এমন একজন রাজপথের লড়াকু সৈনিক, সময়ের সাহসি সন্তান ,ত্যাগী নেতা ,পরীক্ষিত বন্ধু, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী, ন্যায়ের পৃষ্ঠপোষক, সফল তরুণ সংগঠক জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল আলম চৌধুরীর কনিষ্ট পুত্র কাইছারুল আলম মুন্না চৌধুরী। নিজ এলাকা ছাড়াও কক্সবাজার জেলার ছাত্রসমাজ তাকে সৎ হিসেবে একনামে চিনে ও জানে ।

মুন্না চৌধুরী আজ এলাকার ছোট বড় সকলের দোয়া নিয়ে একটি অগ্নি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। আসন্ন জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়তে যাচ্ছেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাইছারুল আলম মুন্না চৌধুরী । ছাত্রলীগের ব্যানারে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে। ইতিমধ্যে তিনি তার নিজ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সমর্থনও চেয়েছেন। তিনি ছাত্র রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহু সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এই প্রতিবেদককে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তার জীবনের আপাদমস্তক।

তিনি প্রাথমিক শিক্ষা শেষে মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন থেকে বৃহত্তর ছাত্র সংগঠন মুজিব আদর্শের ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমর্থক হিসাবে রাজনীতির সূচনা করেন। ২০১০ সালের সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১১-২০১৫ পর্যন্ত বাংলাবাজার সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩- ২০১৭ পর্যন্ত কক্সবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৫-২০১৭ পর্যন্ত বাংলাবাজার ছাত্রলীগ সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কক্সবাজার সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৭ সালে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এ ছাড়াও তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং অরাজনৈতিক প্রায় ডজন খানেক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন।

দক্ষ সংগঠক ও কর্তব্যপরায়ণ মুন্না চৌধুরী বলেন, “আমি শৈশবকাল থেকে আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল আলম চৌধুরীর কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছি। আমার পরিবার বরাবরই একটি আওয়ামী রাজনীতির পরিবার এরই ধারাবাহিকতাই আমার বাবা যেমন করে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে নিজের জীবন বাজী রেখে আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিক তেমনিভাবে আমি আমার বাবার একজন আদর্শবান সন্তান হিসেবে সারাজীবন দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন ক্ষুধা, দারিদ্র, অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও বেকারত্বমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যেতে আমি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী হতে ইচ্ছাপোষণ করছি। আমি বাবার কাছ থেকেই জেনেছি টুঙ্গিপাড়ার খোকা থেকে কিভাবে হলেন প্রশান্ত মহাসাগরসম বিশাল হৃদয়ের অধিকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। আমি সফল হওয়ার জন্য সবার দোয়া কামনা করছি”।