শাহেদ মিজান, সিবিএন:
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, প্রয়াত কিংবদন্তি নেতা একে মোজাম্মেল হকের নাতি এবং যুবমহিলা লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক তামমিনা চৌধুরী লুনা ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হেনা মোস্তফার পুত্র আববার চৌধুরী মাহিমের (১৭) উপর হামলা ঘটনায় নানাভাবে বিতর্কিত এস.এ কাজলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজুর পর কাজলকে হাজতে পাঠিয়েছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। তামমিনা চৌধুরী লুনা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গত ১২ আগস্ট সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বরে যায়। সেখানে আগে থেকে উৎপেতে থাকা বাহারছড়া ইচ্ছিল্যা পাড়ার মোঃ শাহজাহানের পুত্র রবিউল আলম ও তার মামা এস. এ কাজলসহ অন্যান্যরা মিলে তামমিনা চৌধুরী লুনার পুত্র মাহিমের উপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীদের আক্রমনে মাহিম শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারাত্মক আহত হয়েছে। একই সাথে মাহিমের বন্ধুরের উপরও ন্যাক্কারজনক হামলা করা হয়। এই ঘটনা তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে বাড়িতে থেকে এস.এ কাজলকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরে এই ঘটনায় তামমিনা চৌধুরী লুনা বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এস. এ কাজলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার মূলহোতা এস. এ কাজলের ভাগিনা রবিউল আলমকে গ্রেফতার করা যায়নি।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় আটক এস. এ কাজলকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মূল হামলাকারী রবিউল আলমসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।