আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ঘটনায় উপত্যকায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মাটি থেকে এই হুমকি ভিডিওটি প্রকাশিত হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ভারতের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরাবাদে বেশ কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের মদতে শুরু হয়েছে ভারত বিরোধী বিক্ষোভ।

সেখান থেকেই কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলার চালানোর হুমকি দেওয়া হয়েছে। হিজবুল মুজাহিদিন ও ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিলের মত সংগঠন এই হামলার পরিকল্পনা করছে। সৈয়দ সালাহাউদ্দিনের জঙ্গি সংগঠন ইউজিসি ইতোমধ্যেই নাকি ছক কষেছে কীভাবে ও কোথায় কোথায় ধারাবাহিক হামলা চালানো হবে।

বৃহস্পতিবার মুজফফরাবাদের প্রেস ক্লাবের বাইরে হিজবুলের দুই শীর্ষ নেতা খালিদ সইফুল্লা, নইব আমির এবং আরেক জঙ্গি এই ভারতবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। সেখান থেকেই কাশ্মীরে জেহাদ ঘোষণার ডাক দেয় তারা।

মুজফফরাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও হিংসাত্মক বার্তা দিয়েছে জঙ্গিরা। এই জিহাদের জন্য আরও লোক চাই বলেও ঘোষণা করেছে তারা। পুরো বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে গোয়েন্দা দফতর। বাড়ানো হয়েছে কাশ্মীর সীমান্তে নিরাপত্তা।

ভারত থেকে হিন্দুত্ব মুছে ফেলার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে বলে বিক্ষোভে বার্তা দেয় সালাহউদ্দিন। তার মতে এই জিহাদে হয়ত পাকিস্তানও ধংস হবে। কিন্তু মুসলিমরা প্রাণ খুলে বাঁচতে পারবেন, কারণ বিশ্বে প্রচুর মুসলিম দেশ রয়েছে। তারা সেখানে আশ্রয় নিতে পারবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় সীমান্ত সংলগ্ন একাধিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাক সেনারা। খোলা হাতে পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় জবাব দেয় ভারতীয় সেনারা। সীমান্ত সংলগ্ন একাধিক পাক ঘাঁটি লক্ষ্য করে জবাব দেয় ভারতীয় সেনারা।

এতে তিন পাক সেনা এবং ভারতের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে। দু’পক্ষের হামলায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সীমান্ত। উরি-রাজৌরি এবং কেজি সেক্টরেও ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয়।