প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

আশেক উল্লাহ রফিক এমপি বলেছেন, ১৫ আগষ্ট বাঙ্গালী জাতির জন্য বেদনার দিন। এই দিনেই জাতির জনক’কে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল বাংলাদেশকে। তাই ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুর লাশকেও ভয় করেছিল। কিন্তু তাদের সেই আশা সফল হয়নি। এখন বাংলার প্রতিটি ঘরে-ঘরে জন্ম নিয়েছে বঙ্গবন্ধু। যারা দেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে কাজ করছে। যারা ইতিহাস বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও স্বাধীনতার ইতিহাস বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাদের ইতিহাস ক্ষমা করেনি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের গাড়ি পতাকা তুলে দিয়েছিল তারা এখন এতিমের টাকা চুরি করার অপরাধে সাজা ভোগ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করে বলেন, তিনি আছেন বিধায় দেশ এখন উন্নতির শীর্ষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বাঙ্গালী জাতি এখন স্বাধীনতার সুফল পেতে শুরু করেছে। এতে নানা ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র আওয়ামী লীগকে থামাতে পারবে না। তিনি ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এ কথা বলেন। সকাল ৯ টায় শোক র‌্যালী শেষে মহেশখালী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপিসহ নেতৃবৃন্দ। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। এতে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা ডাঃ নুরুল আমিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম আজিজুর রহমান, মহেশখালীর পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া,এডঃ আবু তালেব। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল আলম, মোস্তাক আহমদ তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজেদুল করিম, যুগ্ম আহবায়ক এডঃ শেখ কামাল, যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উল্লাহ সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রভাষক এহচানুল করিম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুল আলম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আশহাদ উল্লাহ সায়েম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর, প্রণব কুমার দে, বড়মহেশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, ছোট মহেশখালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল করিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হালিমুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক পারভেজ আহমদ বাবু, জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক সরওয়ার কাইচার ছিদ্দিকী সোহেল, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার আলম, প্রভাষক নেওয়াজ কামাল, ছাত্রনেতা মোস্তফা কামাল ও মনির বিন সোলতান। পরে মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন আশেক উল্লাহ রফিক এমপি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আশীষ চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, এএসপি রতন কান্তি দাশ, সহকারি কমিশনার ভুমি অংজাই মারমা, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবাস চন্দ্র ধর, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এম আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী, পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ছালেহ আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা পুলিন দে ও আবু জাফর ছিদ্দিকী।

বেলা দেড়টায় তিনি মহেশখালী কলেজ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন। অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক আহমদ কবির’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রবাস চন্দ্র ধর ও সাবেক চেয়ারম্যান শামসুল আলম।