কক্সবাজারের বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত ‘পোকখালীতে স্বামীপক্ষের নির্যাতন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন’ শীর্ষক সংবাদে আমাকে ও আমার পরিবারকে জড়িয়ে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও আসল ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা মাত্র।
প্রকৃত বিষয় হচ্ছে, সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের হাজিপাড়ার মৃত ইদ্রিসের মেয়ে আসমাউল হোসনাকে বিগত ২০১৫ সালে আমি সামাজিকভাবে বিয়ে করি। বিয়ের পরপরই স্ত্রীর চরিত্রহীনতা আমার কাছে ধরা পড়ে। ওই সময় জনপ্রতিনিধিসহ উভয়ের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে একাধিকবার সালিশ-বিচার হয়। পরকীয়া থেকে সরিয়ে রাখতে এক পর্যায়ে স্ত্রী আসমাউল হোসনাকে আমি সৌদি আরবে নিয়া রাখি। ওখানেও সে থাকতে চায়নি। আমাকে বাধ্য করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে। দেশে আসার পর আমি পূণরায় সৌদি আরব চলে গেলে তার অপকর্মের মাত্রা আরো বেড়ে যায়।
এক পর্যায়ে সে আমার পিতা-মাতা ও আমার কথা অগ্রাহ্য করে নিজের ইচ্ছায় পিতার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান করতে থাকে। পরিবারের ঐতিহ্য ও মানসম্মান রক্ষায় তাও আমি মেনে নিয়ে নিয়মিত খোরপোষ চালিয়ে আসছিলাম। পিতৃহীন বাড়িতে স্বাধীন পরিবেশ পেয়ে সে আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। বিভিন্ন জনের সাথে নিয়মিত ঘুরে বেড়ানো ও রাতদিন অবস্থান করা নেশায় পরিণত হয়। সর্বশেষ গত ৪ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে ইসলামাবাদ শাহ ফকির বাজারের বিসমিল্লাহ ফার্মেসি’র কথিত চিকিৎসক নুর মোহাম্মদ জিন্নাতের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসী হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট সোপর্দ করে। পরে আসমাকে পরিবারের জিম্মায় ও জিন্নাতকে বাজার কমিটির জিম্মায় দেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবউদ্দিন ও অন্যান্যরা। এই সময় সিদ্ধান্ত ছিল পরবর্তীতে সামাজিকভাবে বিচার হবে। কিন্তু পরদিনই পরকীয়া জুটি আত্মগোপনে চলে যায়।
এখানে উল্লেখ্য যে, পরকীয়া প্রেমে আসক্ত আসমাউল হোসনা গত জুন মাসে আমার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে বিয় বিচ্ছেদের মামলা (৮৫/১৯ইং) দায়ের করেছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি উল্লেখ করেছে যৌতুকের দাবিতে তাকে ২০১৬ইং সালে আমার বাড়ি থেকে এক কাপড়ে বের করে দেয়া হচ্ছে। অথচ আমি তাকে গত বছর ২০১৮ সালে সৌদি আরব নিয়ে গিয়ে ছয় মাস রেখেছি। ওখান থেকে আসার সময় তাকে লক্ষাধিক টাকার কাপড়-চোপড় ও দশ ভরির অধিক স্বর্ণালংকার দিয়েছি। যা তার পাসপোর্টেই প্রমাণ করে। এছাড়া বিয়ের পরে আমার অজান্তে আসমার সমস্ত অপকর্মের অডিও, ভিডিও ফুটেজসহ অন্যান্য অপকর্মের খতিয়ান আমার নিকট সংরক্ষিত আছে। আমাদের পরিবার পোকখালী’র একটি ঐহিত্যবাহী সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবার। আমাদের একভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাকি ৫ ভাই বিদেশে চাকরি ও বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করছি। এমন একটি পরিবারের লোকজন যৌতুক দাবি করবে তা একেবারেই হাস্যকর।
সুতরাং আমার স্ত্রী আসমাউল হোসনার সাজানো সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা, কাল্পনিক, বানোয়াট বক্তব্য উপস্থাপন সবই নাটক।

প্রতিবাদকারী-
জাহাঙ্গীর আলম
পিতা- ওমর আলি
উত্তর পাড়া, পোকখালী, কক্সবাজার সদর।