প্রেস বিজ্ঞপ্ত:
কক্সবাজারের স্বনানধন্য চিকিৎসা সেবার প্রতিষ্ঠান হোপ হসপিটালে চালুর করা হয়েছে ‘মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট’। এই বিভাগে নানা কারণে মানসিক ব্যাধীতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হবে। বুধবার (৭ আগস্ট) কক্সবাজার সিভিল সার্জন আবদুল মতিন এই ইউনিটটি উদ্বোধন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান, হোপ হসপিটালের চীফ মেডিকেল অফিসার মোঃ ইসমাঈল ইদ্রিস, সার্জারি বিভাগের প্রধান নৃ্ন্ময় বিশ্বাস, হোপ ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর রাকিবুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এসময় সিভিল সার্জন মোঃ আবদুল মতিন বলেন, ‘শারীরিক রোগের মানুষের মানিক রোগও কম হয় না। অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক রোগের চেয়ে মানসিক রোগটা প্রকট হয়। আবার শারীরিক রোগে আক্রান্তদেরও মানসিক চিকিৎসা দরকার। সে গুরুত্বটি অনধাবন করে হোপ হসপিটাল কর্তৃপক্ষ যে ‘মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট’ স্থাপন করলো তা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমি মনে করছি এর মাধ্যমে হোপ হসপিটাল চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রটা পূর্ণাঙ্গ করতে সক্ষম হলো। এই জন্য তারা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। তাদের এই অগ্রযাত্রায় আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএম জাহিদুজ্জামান, ‘দীর্ঘ ২০ বছর যাবত হোপ হসপিটালে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ফিস্টুল, গর্ভবর্তীসহ অন্যান্য রোগসহ মাতৃসেবায় বেশিরভাগ রোগের ক্ষেত্রে শারীরিক চিকিৎসার পাশপাশি মানসিক চিকিৎসার খুবই দরকার। সেটি বিবেচনায় নিয়ে গত ছয় মাসের দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবশেষে হোপ হসপিটালে ‘মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট’ চালু করা হলো। আমাদের এই বিভাগের সেবায় সহযোগিতার করবে কক্সবাজার সদর হসপিটাল।’

এই প্রসঙ্গে হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ও প্রেসিডেন্ট ডা. ইফতিখার মাহমুদ বলেন, ‘ছোট্ট পরিসর থেকে যাত্রা করা হোপ হসপিটাল আজ একটা বড় পরিসরে দাঁড় হয়েছে। এই সময়ে এই হাসপাতালটিকে পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করেছি। তবে তা একসাথেই করা সম্ভব হয়নি। ক্রমান্বয়ে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে। আমি মনে করছি ‘মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট’ চালুর মধ্য দিয়ে মোটামুটি পরিপূর্ণতা পেলো হোপ হসপিটাল।’