আল্ জাবের, মাতারবাড়ী থেকে ফিরে:

মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নয়া পাড়াস্থ বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকায় কয়েকটি বসত ঘর ও গোয়াল ঘর ভেসে গেছে। ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে ঐ এলাকার একটি মসজিদসহ শতাধিক বাড়ী ঘর। গেল রমজানের ঈদের পর পর ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঐ স্থানে জরুরী ভিত্তিতে কাজ করার কথা থাকলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তা রহস্যজনক কারণে বন্ধ করে দেয়ায় ঐ ভাঙনের এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।  মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ থেকে  বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড আর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত কর্তারা মুখে আশ্বাস দিয়ে আসছে শুধু। পানি নিস্কাশনের সকল সুইচ গেইট কোলপাওয়ার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়ে প্রতি বর্ষা মৌসুমে পানি ডুকিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মাতারবাড়ীবাসীকে। এ ছাড়া মাতারবাড়ীর পশ্চিমে সাগর চ্যানেল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করায় পশ্চিমের দীর্ঘতম চরটি বিলিন হয়ে যাওয়ায় সাগরের প্রবল ডেউ সরাসরি আঘাত হানছে বেড়িবাঁধের উপর। যার ফলে বেড়িবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বেরিয়ে যাওয়া কাদা মাটি, বালি ও ময়লা আর্বজনা গভীরতম কোহেলিয়া নদীতে পড়ায় নৌ-যান চলাচল করতে বিঘ্ন ঘঠছে। কোহেলিয়া নদী মাতারবাড়ীর ভূমিপৃষ্ট থেকে উচু হওয়ায় বৃষ্টির পানি ও বাড়ী ঘরের ব্যবহারের বর্জ্য কোহেলিয়া নদীতে পড়তে না পারায় পুরো বর্ষায় রাস্তা- ঘাট ভরপুর হয়ে যায়। এ অবস্থা চলছে গত ৩ বছর ধরে। দ্বিতীয় টুঙ্গি পাড়া নামে খ্যাত মাতারবাড়ীর এসব দৃর্শ্য সরে জমিনে দেখার জন্য অত্র এলাকার নারী পুরুষদের পক্ষ থেকে সরাসরি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ।