আলাউদ্দিন, লোহাগাড়া :

প্রতি বছরের মত এবারও কোরবানি পশুর হাট জমে উঠেছে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া তেওয়ারী হাট। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সেরা পশুর হাট পরিচিত এটি। সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসে এ হাট। পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ, পুকুরের পাড় ও আশ-পাশের রাস্তায় বসে পশুর হাট।

৭ আগস্ট (বুধবার) সকালে থেকে হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে গরু-ছাগল আসতে থাকে। বিকেল নাগাদ উক্ত হাটের পদুয়া হাই স্কুল মাঠ, মাঠের পাশের পুকুরের পাড় ও আশ-পাশের রাস্তা পশুতে ভরে যায়।

বিকেলে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দেশি গরু বেশি উঠেছে। বাজারে মাঝারি আকারের গরু বেশি উঠেছে। পাশাপাশি উঠেছে ছাগল।

দরবেশহাট এলাকা থেকে আসা গরু বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, হাটে আমার পালিত দুটো গরু এনেছি । একটার নাম সাদা- মানিক আরেকটার নাম লাল মানিক। দুটোর দাম ৬০ লাখ টাকা।

গরু কিনতে আসা কলাউজানের বাসিন্দা জসীম জানান, কোরবানীর জন্য গরু কিনতে এসেছি। ঘুর ঘুরে দেখছি কোনটি কেনা যায়। তবে দাম এবার খুব একটা বেশী না। মোটামুটি সাধ্যের মধ্যেই আছে।

পশুর হাটের ইজারাদার নুরুল ইসলাম সিকাদর ও আবুল হাসেম বলেন, কোরবানি পশুর হাট বেশ জমে উঠেছে। সকাল থেকে পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই যেন প্রতারণার শিকার না হয়, সেজন্য হাটে একাধিক কর্মী কাজ করছে।

এদিকে বিকালে পশুর হাট পরিদর্শন করেছেন লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো : সাইফুল ইসলাম। এসময় তিনি জানান, কোরবানীর পশু হাটের নিরাপত্তার জন্য ইতোমধ্যেই হাট ইজারাদারদের সাথে মত বিনিময় সভা করেছি। এসআই ও এএসআই এর নের্তৃত্বে একটি টিম হাটে টহল দিচ্ছে।

তিনি আরো জানান, ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ যাতে নিরাপত্তার সাথে পশু কেনা-বেচা ও টাকা পয়সা লেনদেন করতে পারে সেটির নিরাপত্তা নিশ্চত করা হয়েছে । জাল টাকা সনাক্তের জন্য মেশিন বসানো হয়েছে। হাটে ছিনতাইকারী বা মলম পার্টির দৌরাত্ম বন্ধে সাদা পোশাকেও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। তবে হাট গুলোতে এখনো কোন অপ্রতিকর খবর পাওয়া যায়নি।