ফরিদুল আলম দেওয়ান ,মহেশখালী:

বর পক্ষ কতৃক কনে পক্ষকে বাঁধা দিয়ে মেহেদী অনুষ্ঠান করতে না দেয়াকে কেন্দ্র করে পর দিন বিয়ে অনুষ্ঠানে উভয় পক্ষের মারামারিতে পন্ড হয়ে গেছে বিয়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন। অবশেষে কনে ছাড়া ফিরে গেল বর। শেষ পর্যন্ত থানা পুলিশ গড়িয়েও আর হলো না বিয়ে। মহা ধুমধামের আনন্দঘন পরিবেশে এ বিষাদময় ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামে।
এলাকাবাসীরা জানান, ৫ আগষ্ট সোমবার উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামের মোঃ জহিরের ছেলে বাদশা অামিনের সাথে একই গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র বজল আহমদের মেয়ের বিয়ে ছিল। পূর্বের রাতে কনের বাড়ীতে গিয়ে মেহেদী অনুষ্ঠান করতে বাঁধা দেয় বর পক্ষের লোকজন। এতে কনে পক্ষ ক্ষুব্দ হয়ে মেহেদী অনুষ্ঠানের জন্য সাজানো গোছানো স্টেজ বাদ দিয়ে বরের জন্য পরিত্যক্ত স্টেজ রেখে দেয়। পর দিন ৫ আগষ্ট যথা সময়ে বরযাত্রী গিয়ে খাওয়া দাওয়া শুরু করলেও স্টেজের অবস্থা দেখে বর গাড়ীতেই সময় কাটায় সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত। অবশেষে কাজী আসলে স্টেজে না উঠে সাধারণ চেয়ারে বসে কাবিন রেজিষ্ট্রিও সেরে নেয় বর। পরে দুলার পার্টির ব্যাচে খাবার নিয়ে আসার পর ভাত খাওয়া না খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে লেগে যায় তুমুল বাকবিতন্ডা ও মারামারি। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়। গ্রামবাসীরা ঘটনা ছাড়িয়ে নিলেও কনে পক্ষ আর কনে তুলে দেয়নি বরের হাতে। এ নিয়ে গ্রামের সমাজপতিরা রাত ১০টা পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় অবশেষে বর পক্ষ মহেশখালী থানায় অভিযোগ দিয়ে রাতে একদল পুলিশ নিয়ে এসেও বউ ঘরে তুলতে ব্যর্থ হয়। গতকাল ৬ আগষ্ট থানায় দুপক্ষের মধ্যে সালিশ বিচার বসলেও কনে পক্ষ আর কনে দিতে রাজি না হওয়া অমিমাংসিত থেকে যায় বিয়েটি।