বার্তা পরিবেশক:

‘ষড়যন্ত্রকারীদের যোগসাজসে’ সংবাদপত্রে অপবাদ দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করার অভিযোগে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেছেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এইচ.এম নুরুল আলম। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তিন আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। এইচ এম নুরুল আলমের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ জাকারিয়া সমন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামীরা হলেন যথাক্রমে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো. ইকবাল উদ্দিন, রামু চাকমারকুল আল-জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসার স্বঘোষিত মোহতামিম ও মৃত আমির হামজার পুত্র মৌলানা সিরাজুল ইসলাম এবং চাকমারকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের নিউ সার্কিট হাউজ রোডের ওশান ড্রিম ভবনের ৭ম তলার বাসিন্দা হাজী নুর আহমদ সিকদারের পুত্র এইচ এম নুরুল আলম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। পক্ষান্তরে আসামীরা মিথ্যাবাদি, কুটকূশলী, হিংসুক, সুনাম নষ্টকারি ও আইন অমান্যকারি প্রকৃতির একদলবদ্ধ লোক। মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করিয়া অন্যের সুনাম নষ্ট করা তাহাদের পেশা ও নেশা হয়। মামলার আর্জিতে বাদি উল্লেখ করেছেন, ১৯৯৬ সালে ছাত্রজীবন থেকেই মৎস্য ও পোল্ট্রি ফার্ম করে লাখ লাখ টাকা আয় করেন। যাহা ২০০৪ সালের ৩ জুন জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তিনি ঐতিহ্যবাহি ও সম্ভ্রান্ত সিকদার পরিবারের সন্তান। দাদা ও পৈত্রিক সূত্রে তিনি অনেক সহায় সম্পদের মালিক। চাকমারকুল মৌজার বি.এস-১৮৪ নং খতিয়ানের ১০.৯৩ একর নাল জমি তার পিতা ও চাচাদের নামে চূড়ান্ত প্রচার আছে। তিনি ২০০০ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ ও বিষ্ফোরক অধিদপ্তর হইতে ২য় শ্রেনীর ট্রেড লাইসেন্স নিয়া ড্রাম বিওসি আলম এন্ড ব্রার্দাস নামক প্রতিষ্ঠান জ¦ালানী ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। একই সাথে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজার হইতে ক শ্রেনীর ঠিকাদার লাইসেন্স নং-০৫৬২/০২ করে ঠিকাদারী ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ২০০৮ সাল থেকে রামুতে এন. আলম ফিলিং ষ্টেশন পরিচালনা করে আসছেন। একই সাথে চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীতে এন.আর.সি ফিলিং ষ্টেশন ও কক্সবাজার পুলিশ লাইনের সামনে এলপিজি পাম্প স্থাপন করে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তিনি বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনারশীপ এসোসিয়েশন এর কেন্দ্রিয় কমিটি, চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ সাল থেকেই তিনি আয়কর দিয়ে আসছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের জন্য শর্ট গান ও নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য সরকারের কাছ থেকে পিস্তলও নেন। তিনি কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক। তার পিতামহ চাকমারকুল আল-জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসায় ৫.৮০ একর জমি দান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নিজেও মাদ্রাসাটির একজন দাতা সদস্য হন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে উক্ত মাদ্রাসায় নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা এবং ফৌজদারি অপরাধ সংগঠিত হওয়ায় দাতা সদস্য হিসেবে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। যার কারণে মাদ্রাসার স্বঘোষিত মোহতামিম নামধারি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম অপরাপর আসামীদের সাথে পরষ্পর যোগসাজসে তার বিরুদ্ধে নানা প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।

এর ধারাবাহিকতায় ২৬/৭/১৯ তারিখে মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল ইসলামের সরবরাহকৃত মিথ্যা অপবাদ ও মানহানিকর তথ্য দিয়ে দৈনিক দৈনন্দিন পত্রিকায় ‘চাকমারকুলের ধনকুবের নুরুল আলমের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ’ শিরোনামে মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করে। এধরণের সংবাদ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নুরুল আলমের শত কোটি টাকার মানহানি করা হয়েছে।