দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকায় ৪ আগস্ট প্রকাশিত চকরিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা শীর্ষক সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদটি ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক। সত্য যে, প্রখ্যাত চিকিৎসক ডা. আনোয়ারুল হক চৌধুরী আমার শ্রদ্ধেয় চাচা। আজিজুল হক চৌধুরীও ঠিক তাই। অন্য দু’চাচার মতো দু’জনই আমার শ্রদ্ধার পাত্র। সমস্যাটা এখানে- আমার মরহুম দাদা মরহুম বশির আহমদ চৌধুরীর বড় ছেলে হিসেবে পারিবারিক সম্পদের বিকাশ সাধনে আমার মরহুম বাবা মৌলভী এফজালুল হক চৌধুরী লালুর ভূমিকা ছিল সর্বাগ্নে। জীবদ্দশায় তাঁর একনিষ্ট পরিশ্রমের ফল আমার শ্রদ্ধেয় চাচাদের সমাজে প্রতিষ্ঠাই বড় প্রমাণ। অথচ বাবার মৃত্যুর পর আমার দাদার সবচেয়ে শিক্ষিত ছেলেটি ওমেদা বশির ট্রাস্ট করবে এই মিথ্যা আশ্বাসে রিংভং মৌলভী কাটা মৌজার প্রায় সাড়ে ১৮ কানি পরিমাণের সম্পত্তি আমার ডাক্তার চাচা নিজেই পকেটস্থ করেন। তাছাড়া আমাদের পরিবারের মধ্যে পৈত্রিক সহায় সম্পদের এখনও কোন ভাগ ভাটোয়ারা হয়নি। অথচ ডা. আনোয়ারুল হক চৌধুরী যৌথ সম্পত্তির অধিকাংশ মালিকানা স্ব-নামে/বেনামে নিজের করে নিয়েছেন। অন্য চাচা ও ফুফিদের নিয়ে পারিবারিক বৈঠক ডেকে সকল সম্পত্তির ন্যায্য হিসাব ভাগ-ভাটোয়ারা করে দিতে সবিনয়ে অনুরোধ করলেও ডা. আনোয়ারুল হক চৌধুরী কৌশলে পাশ কাটিয়ে যান। এও সত্য যে, আরেক চাচা আজিজুল হক চৌধুরী চাচার সহযোগী সেজে ঐতিহ্যবাহী পারিবারিক ইমেজ ধ্বংস করতে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যার বেসাতি সাজাচ্ছেন। শুধু তাই নয়-চট্টগ্রামের হুমায়ুন কবির নামের কথিত ভাড়াটিয়া বুকিং দিয়ে দু’চাচা আমার ইমেজ ধ্বংস করতে চকরিয়া আদালতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করেছেন। আমরা বাবা হারা এতিম সন্তানদের সম্পত্তির লোভে আমাদেরকে নিঃস্ব করতে দু’চাচা এই জঘন্য মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। তাছাড়া মালুমঘাটের দোকানঘর আমারই কেনা, আমারই ভোগ দখলে। যা ডুলাহাজারার সব মানুষ জানেন। অথচ ভাল মানুষ সাজা চাচারাই যৌথ পরিবারের ৭ কানি আয়তনের বড় পুকুরটি নিজের নামে লিখে নিয়েছেন। শ্রদ্ধেয় চাচারা কাঁচের ঘরে বাস করে আমরা নিরীহদের অহেতুক ঢিল ছুটছে। দু’চাচার সকল মিথ্যা ষড়যন্ত্র আমি আইনগত ভাবে মোকাবেলা করবো ইনশাল্লাহ। আমি আমার বিরুদ্ধে আনীত এসব মিথ্যা অভিযোগ ও সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসনসহ সর্বসাধারণকে এই মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী
আমিনুল এহেছান চৌধুরী সাইফুল
সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত)
ডুলাহাজারা ইউপি. ও
সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন শাখা।