রেবেকা সুলতানা আইরিন, কক্সবাজার ॥
গত ৩১ জুলাই কুতুবদিয়া উপজেলা বড়ঘোপ ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, শিক্ষিকা রোজিনা আক্তারকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মামলা রেকর্ড করেনি কুতুবদিয়া থানা পুলিশ।
গত ২ আগস্ট থানায় দায়ের করা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩১ জুলাই বিকাল পৌনে ৫টার সময় কুতুবদিয়া উপজেলা বড়ঘোপ মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রোজিনা আক্তারের কুতুবদিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন নিজ বাসায় কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মিজ্জির পাড়ার ছালেহ আহমদ চেয়ারম্যানের ছেলে ইদ্রিচ খোন্দকার খোকন অতর্কিত ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
এতে বাধা দিলে রোজিনা আক্তারকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে শ্লীলতাহানীর এক পর্যায়ে চিৎকার করলে প্রাইভেট পড়তে যাওয়া মেয়ে তৃষা ও স্বামীর ভাগ্নি হ্যাপি বাসায় আসলে তারা এতে বাঁধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে। এতে আশপাশের লোকজন এসে খোকনকে হাতেনাতে আটক করে। তখন খোকন তার ভাই ইলিয়াছ খোন্দকার ডালিমকে ফোন করলে সে তার বোন মুন্নি ও তার ছেলে বাবুসহ ১০/১২ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে নিয়ে এসে রোজিনার বাসায় বর্বরোচিত ব্যাপক তান্ডব চালায়। এসময় খবর পেয়ে রোজিনার স্বামী জমির উদ্দিন বাসায় পৌঁছলে তাকেসহ মেয়ে তৃষা ও হ্যাপিকে ব্যাপক মারধর করে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পুলিশ খোকন ও ডালিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হলেও পরে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় রোজিনাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রোজিনার অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২ আগস্ট রোজিনা বাদী হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মায়ের মাধ্যমে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত এজাহার রেকর্ড করেনি কুতুবদিয়া থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেল এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রতন দাশগুপ্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ ব্যাপারে কুতুবদিয়া থানা অফিসার ইনচার্জকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান। এব্যাপারে ফোনে কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ দিদারুল ফেরদৌস এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করে গাড়িতে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।