ঈদগাঁও সংবাদদাতাঃ

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহ-ইসলামাবাদে জমি দখলের চেষ্টায় বাঁধা দিতে গিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।
এসময় হাজী সিদ্দিক আহমদ গুরুতর আহত হন। ২ আগস্ট সকাল ১১ টায় এঘটনা ঘটে।
আহতের পক্ষ থেকে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। কিন্তু হামলাকারীরা উল্টো আক্রান্তদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা জন্য শনিবার (৩জুলাই) বিকালে থানায় গেলে দুর্ধর্ষ ত্রাস হিসেবে পরিচিত সদরের উত্তর গোমাতলী রাজঘাট পাড়ার মোঃ আবদুল হাদী প্রকাশ বারীর পুত্র শফিকুল ইসলাম পলাশকে আটক করেছে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।
এদিন বিকেল চারটার দিকে থানা অভ্যন্তর থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, গত ২ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে গোমাতলীর সাজ্জাদুল করিমের নেতৃত্বে শফিকুল ইসলাম পলাশ সহ ১৭/১৮ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল পোকখালী গোমাতলি থেকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হাজীপাড়া আউলিয়াবাদ এলাকার আলহাজ সিদ্দিক আহমদ বসতভিটা দখলের জন্য হানা দেয়।
এ সময় তার জমির সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে জমি দখলের চেষ্টা চালায়।
বয়োবৃদ্ধ হাজি সিদ্দিক আহমদ বাঁধা দিতে গেলে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।
সীমানা পিলার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। এছাড়া নগদ টাকা মোবাইল সেট সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১৩ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।
এজাহারে আসামী করা হয়, কক্সবাজার সদরের পোকখালী পশ্চিম গোমাতলির সাজ্জাদুল করিম, জামাল হোসেন, কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও উত্তর গোমাতলী-রাজঘাট এলাকার শফিকুল ইসলাম পলাশকে। তৎমধ্যে সাজ্জাদুল করিম ও পলাশের বিরুদ্ধে ঈদগাঁহর সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম উদ্দিনের ওপর হামলা মামলা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অসংখ্য মামলা রয়েছে।
এদিকে হামলাকারীরা উল্টো আক্রান্ত বৃদ্ধ হাজি সিদ্দিক আহমেদর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করার জন্য শনিবার বিকেলে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যান। সেখান থেকে শফিকুল ইসলাম পলাশকে পুলিশ আটক করেছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুজ্জামান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শফিকুল ইসলাম পলাশের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।