তারেকুর রহমান:

কক্সবাজারবাসীর কাছে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কলাতলী সংযোগ সড়কটি মানেই ভোগান্তির এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দকের কারণে দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কের অপর নাম ছিল ভোগান্তি সড়ক।
বর্ষার সময় হাঁটু সমান পানি, গর্ত-খানাখন্দক ও এবড়ো থেবড়ো রাস্তা দিয়ে উল্টে-পাল্টে চলতো রিকশা, ইজিবাইক (টমটম) সহ স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র ছাত্রী ও এলাকাবাসীর ভোগান্তির সীমা ছিল সহ্যের বাইরে। অবশেষে প্রায় ৬ মাস পর শেষ হলো সড়কটির সংস্কার কাজ।
গতকাল বুধবার (৩১ জুলাই) কলাতলী ডলমিন মোড় থেকে দক্ষিণে বেইলী হ্যাচারী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির সংস্কার কাজ শেষ হলো ।
তবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সড়কটি শক্ত হওয়ার জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকবে এবং ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১১ আগস্ট ছোট যান যেমন- টমটম, সিএনজি, অটোরিকশা ও ছোট মোটর গাড়িগুলো চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে সড়কটি। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত কোনো বড় যানবাহন চলাচল করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন, পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর ইয়াসমিন আক্তার।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কলাতলী সংযোগ সড়কটি সংস্কারের জন্য গত ২ ফেব্রুয়ারী তিনমাসের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখতে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল কক্সবাজার পৌরসভা। কিন্তু যান চলাচলের জন্য কোনো বিকল্প সড়ক তৈরি না করে হঠাৎ যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সড়কের নির্মাণকাজ শুরু করে। ফলে কলাতলী মোড়ের সায়মন বীচ পয়েন্ট হয়ে সাগরের বালি চরের ওপর দিয়ে বেইলী হ্যাচারী পর্যন্ত বিকল্প যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
সাগরে জোয়ার এলে যান চলাচল বন্ধ, আবার ভাটা হলে যান চলাচল শুরু। এভাবে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে চলাচলরত পর্যটকদের পাশাপাশি শহরের কলাতলী, দরিয়ানগর, রামুর হিমছড়ি, উখিয়ার সোনারপাড়া, ইনানী, মনখালী ও টেকনাফের শামলাপুরসহ লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছিল। আর এতে প্রায়েই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জোয়ারের পানিতে ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে অনেক এনজিও’র প্রাইভেট গাড়ীর, এছাড়াও জোয়ারের পানিতে ভাসতে হয়েছিল মালবাহী ট্রাক, সিএনজি-জীপ সহ অনেক যানবাহনকে। দুর্ভোগে পড়েছিলেন যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ ছাড়াও দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। কাজের ধীরগতি, পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, বারবার নকশা পরিবর্তন ও নানা কারণে তিনমাসের কাজ শেষ করতে ছয় মাস লেগেছে বলে জানালনে অনেকে। এরপরও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যাত্রীদের ভোগান্তির অবসান ঘটে অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কাজ শেষ হলো বলে খুশি এলাকাবাসী ও দূর-দূরান্তের যাত্রী।