এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
গরুর খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন তরুণ এক উদ্যোক্ত। দৃঢ় মনোবল, শ্রম আর ইচ্ছা শক্তিই যে মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন ঘটায় তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছে বাদল নামের এক কৃষক। নিরলস প্রচেষ্টা ও মনোবল আজ তাকে সফলতার দ্বারে পৌঁছে দিয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়ায় কোরবানির পশুর হাট জমে উঠার আগেই পুরো এলাকা জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ” রাজ কুমার “। নামটি শুনার পর পরই এলাকার সাধারণ লোকজন কেমন যেন অবাক বিশ্বায়নে মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। চকরিয়ায় কোরবানির পশুর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে দাড়িয়েছে রাজ কুমার ষাঁড়। উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের দরবেশ কাটাস্থ কৃষক বাদলের ডেইরি ফার্মে বেড়ে উঠা ষাঁড়ের নাম হলো রাজ কুমার। নাম তার যেমন রাজ কুমার। খাবার দাবারের তালিকাও রাজার মতোই। এবারের কোরবানি ঈদে রাজ কুমার ষাঁড়টি ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে। এ রাজ কুমার ষাঁড়টির ওজন এক টনের অধিক। এবার কোরবানির ঈদে রাজ কুমার কক্সবাজার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু বলে দাবি করেন খামারী বাদল।

দরবেশ কাটা এলাকায় বড় এই গরুটি দেখতে প্রতিদিন বাদলের ডেইরি ফার্মে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। পরম যত্নে গরুর মালিক বাদল ও তার কর্মচারীরা মিলে লালন-পালন করেন ষাঁড়টি। শখ করে ষাড়টির নাম রেখেছিল ‘রাজ কুমার’। রাজ কুমার খুব শান্ত সৃষ্ট প্রকৃতির, কাউকে কোনও বিরক্ত করে না। এবার কোরবানির ঈদের জন্য তাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। কোরবানকে ঘিরে পশুর ক্রেতাসহ উৎসুক লোকজন এখন সাদার ওপর কালো ছোপওয়ালা (ডোরাকাটা) বিশাল আকৃতির এ রাজ কুমারকে দেখতে ভিড় করছেন খামারির বাড়িতে সাধারন মানুষ।

খামারী বাদল জানায়, রাজ কুমার শুধু নামে নয়, তার খাবার-দাবারও সাধারণ পশুর চেয়ে আলাদা। খড়, ভূষি ছাড়াও তাকে খাওয়ানো হয় আপেল, কমলা, মাল্টা, চিড়া, গুড়সহ নানা রকমের খাবার। খাওয়া বাবদ প্রতিদিন রাজ কুমারের পেছনে খরচ হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকা। রাজ কুমার গরম সহ্য করতে পারে না। যেখানে তাকে রাখা হয় সেখানে তিনটি ফ্যান চলে। কোরবানির সময় ভালো দাম পেলেই তাকে লালন-পালনের পরিশ্রম স্বার্থক হবে।