এ কে এম ইকবাল ফারুক, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন করে অবৈধ বসতি নির্মান চেষ্টা অভিযান চালিয়ে ভূন্ডুল করে দিয়েছে বন বিভাগের লোকজন। চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন বরইতলী বনবিট কর্তৃপক্ষ বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে চকরিয়া উপজেলার বানিয়ারছড়া টিএনটি টিলার সামাজিক বনায়নের বাফার জোন এলাকায় এ অভিযান চালায়। অভিযানে সামাজিক বনায়নের ৫০জন উপকার ভোগীও অংশ নেয়। অভিযানের সময় অবৈধ বসতি নির্মনাকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া দা. করাত ও খুঁটিসহ বেশকিছু সরঞ্জাম জব্দ করে বনবিভাগ।

সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী শহিদুল আলম সোহাগ, নুরুল আলম ফারুকী ও জিয়া উদ্দিন বলেন, বন বিভাগের নিয়ন্ত্রনাধীন বন এলাকায় ক্লাইমেট রিজিলিয়েন্ট পাটিসিপেটরী অফরেস্টেশন এন্ড রিফারেস্টেশন (সিআরপিএআর) প্রকল্পের আওতায় বাফর জোন সৃজনের উদ্দেশ্যে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী বনবিটের আওতাধীন টিএনটি টিলা এলাকায় ৫০জন উপকারভোগীকে (প্রতিজন ১ একর করে) ৫০ একর বনভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের প্রণীত ইমপ্লিমেন্টশান ম্যানুয়েল অনুসারে উপকারভোগী নির্বাচন কমিটির সুপারিশক্রমে এসব উপকারভোগী নির্বাচিত হওয়ার পর সামাজিক বনায়ন বিধিমালা ২০১৪ এর আলোকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই বনবিভাগ এবং উপকারভোগীদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করা হয়। চুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী উপকারভোগীগন বৃক্ষরোপন ও রক্ষণাবেক্ষন করে আসলেও বাফারজোন এলাকায় কতিপয় চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের নুরুল কবির মেম্বারের পুত্র সাজ্জাদুল ইসলাম সাজ্জাদ ও একই এলাকার মো. ফিরোজ আহামদের নেতৃত্বে ২০-২৫জন সশস্ত্র লোক বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন করে অবৈধ বসতি নির্মানের চেষ্টা চালায়। পরে বনবিভাগের লোকজন ও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তা ভূন্ডুল করে দেয়।

বরইতলী বনবিট কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, বরইতলী বনবিটের আওতাধীন টিএনটি টিলার সামাজিক বনায়নের বাফার জোন এলাকায় সামাজিক বনায়নের গাছ নিধন করে অবৈধ বসতি নির্মানের খবর পেয়ে বুধবার (৩১ জুলাই) বনবিভাগের লোকজন ও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের খবর পেয়ে অবৈধ বসতি নির্মানকারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের ফেলে যাওয়া দা. করাত ও খুঁটিসহ বেশকিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

বনবিট কর্মকর্তা আরও বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে অভহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অবৈধ বসতি নির্মান চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।