মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মরণঘাতি ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানো উখিং নো নংশান এর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। রোববার ২৮ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের উত্তর নতুন বাহারছরা (মগচিতা পাড়া) রাখাইন মহাশ্মশানে এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। নুংশান এর শেষকৃত্যে অনুষ্ঠানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক শ্রাবস্তী রায় (উপ-সচিব), উর্ধ্বতন কর্মকতাগণ, কালেক্টরেট কর্মচারী সমিতির সভাপতি নাজির স্বপন পাল, সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল আলম, রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন, রাখাইন ভান্তে, রাখাইন ধর্মীয় নেতাগণ, নুংশান এর সহপাঠীরা সহ প্রচুর লোকজন উপস্থিত ছিলেন। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার হৃদয় বিদারক কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের মেধাবী ছাত্রী উকিং নো নুংশান (১৯) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। ঢাকাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নুংশান প্রথমে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।পরে ২৬ জুলাই থেকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় নুংশান এর স্বাস্থ্যের অবনতি হলে চিকিৎসকগণ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামে প্রেরণের পরামর্শ দেন।চিকিৎসকদের পরমর্শ মতে, শনিবার ২৭ জুলাই বেলা দু’টার দিকে কক্সবাজার সদর জেলা হাসপাতাল থেকে নংশান কে রিলিজ করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে একইদিন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নুংশান দুনিয়ার মায়া ছেড়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নুংশান কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার প্রধান সহকারী, বিশিষ্ট রাখাইন গবেষক, লেখক ও শহরের কৃষি অফিসের পশ্চিম পার্শ্বে এন্ডারসন রোডের বাসিন্দা মংবা অং (মংবা) ও জনতা ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ম্যা ম্যা চি এর একমাত্র কন্যা। নুংশান জেএসসি, এসএসসি ও এইসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছিল। নুংশান-ই কক্সবাজার জেলার এবছেরর প্রথম নাগরিক, যাকে মরণঘাতী ডেঙ্গু পৃথিবী থেকে চির বিদায় করে দিলো।