মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

দেশের সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম হচ্ছে জামে মসজিদের মিম্বর এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একযোগে মসজিদের খতিব, ইমাম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা যদি ‘ছেলেধরা’ বিষয়টা সঠিক নয়, এটা ডাহা মিথ্যা ও সম্পূর্ণ গুজব বলে প্রচার করেন, তাহলে দেশের সকল নাগরিক সেটা অবশ্যই আস্থায় আনবে। তাছাড়া, মুষ্টিমেয় গুজব রটনাকারীরা উদ্দ্যেশ্যমূলকভাবে গুজব ছড়াতে আর কখনো সাহস করবেনা। খতিব, ইমাম, বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক নেতা, এনজিও কর্মী, কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সহ সর্বস্থরের দায়িত্বশীলেরা বিষয়টি নিয়ে একটু সচেতন হলে কথিত ‘ছেলেধরা’ গুজবের নেতিবাচক দিক থেকে সকলে রেহায় পাবেন। এজন্য এ বিষয়ে সকলকে একযোগে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানিয়েছেন কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত এসপি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। তিনি বলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ পক্ষ থেকে বিগত দুই শুক্রবার জুমার নামাজে এএসআই থেকে শুরু করে এডিশনাল এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা প্রত্যেকে পৃথক পৃথক জামে মসজিদে গিয়ে জুমার আগে তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে সম্মানিত মুসল্লীদের সচেতন করার চেষ্টা করেছেন। একইভাবে প্রত্যেকদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এবিষয়ে সচেতনেমূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সারাদেশে তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ সংক্রান্ত এ পর্যন্ত ৪৬ টি ঘটনা সংগঠিত হয়েছে উল্লেখ করে ভারপ্রাপ্ত এসপি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন- প্রতিটি ঘটনা বহুমুখী তদন্ত করে দেখা গেছে কোনটিই তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ বিষয়ক নয়। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে। অর্থাৎ তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ ব্যক্তির সাথে কারো সম্পত্তির দ্বন্ধ, কারো নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, কারো টাকা পয়সার লেনদেন, কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক, স্থানীয়ভাবে শত্রুতা ইত্যাদি বিভিন্ন স্বার্থ হাসিল করতে তথাকথিত ‘ছেলেধরা’ সাজিয়ে আক্রমণ করা হয়েছে। ‘ছেলেধরা’ অপবাদ দিয়ে শত্রুতা হাসিলের চেষ্টা করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ দেশের শান্ত পরিবেশকে পরিকল্পিতভাবে অশান্ত ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত করে ফায়দা লুঠতে এ ধরনের একের পর এক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাই এ ধরনের গুজবে কাউকে কান না দিতে তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।